সুপ্রিমকোর্টে সরকারের আইন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের মধ্যে যারা ২০১৭ সালের আগে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের পদত্যাগ করতে বলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তবে কেন তাদেরকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে, সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো ব্যাখ্যা দেননি অ্যাটর্নি জেনারেল।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আইন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সেখানে তিনি তাদের পদত্যাগ করতে বলেন।
ইতোমধ্যে একাধিক ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার কথাও জানান।
পুরনো আইন কর্মকর্তাদের অনেকের বিষয়ে যে সরকার সন্তষ্ট নয়, তা বিভিন্ন সময়ে আইনমন্ত্রীর কথায় প্রকাশ পেয়েছে। ২০১৭ সালের আগে নিয়োগপ্রাপ্তদের পদত্যাগ করতে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি বুধবারই তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাই কোর্ট বিভাগে ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দেয় সরকার। রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে আইন মন্ত্রণালয় এই নিয়োগ বা নিয়োগ বাতিলের বিষয়টি দেখভাল করে।
ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো মেয়াদ থাকে না।
বর্তমানে মোট ৬৭ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ১০৬ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন ডেপুটি ও ৫৪ জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ২০১৭ সালের আগে নিয়োগ পেয়েছেন বলে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস সূত্র জানায়। পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে অ্যাটর্নি জেনারেল জানান।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য সুপ্রিমকোর্টের ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দেয় সরকার। রাষ্ট্রপতির অনুমতিক্রমে আইন মন্ত্রণালয় এই নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানের পর বুধবার সাংবাদিকদের জানান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নতুন করে নিয়োগ দেয়া হবে। এ কারণে ২০১৭ সালের আগে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।