বিশ্বে নিকোটিন, অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইনের নেশার পরেই সুপারির অবস্থান । সমগ্র এশিয়ায় সুপারির চাষ হয়। ছয় কাপ কফির সমান উত্তেজনা দেয়া সুপারির গুণগান হয় উপমহাদেশের বিয়েশাদি এবং বদহজমসহ নানা রোগের চিকিৎসায়।
তবে এই আপাত নিরীহ সুপারিকে নীরব ঘাতক হিসেবে দেখছে ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার । সুপারি খাওয়ার অভ্যাস ওরাল বা মুখগহ্বরের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ঘরোয়া নেশা সুপারির স্বাস্থ্য ঝুঁকিগত দিকটি নিয়ে ‘এশিয়াস ডেডলি সিক্রেট’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
প্রতিবেদন অনুযায়ি, এশিয়ায় নারীদেরকেই সুপারি বেশি খেতে দেখা যায়। তবে স্বল্প আয়ের কর্মজীবী মানুষ, দিনমজুর, গাড়িচালক, নির্মাণশ্রমিকরা বেশি সুপারি খান বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়।
এই সুপারি খাওয়া একসময় বড় বিপদের কারণ হয়ে দাড়ায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুপারি খাওয়া থেকে সৃষ্ট ক্ষত থেকে ওরাল ক্যান্সার হতে পারে। তাইওয়ানের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ডাক্তার প্রফেসর হান লিয়াং-জিউন জানান, পান-সুপারি খাওয়া অর্ধেকেরও বেশি মানুষ জানেনই না যে তারা ওরাল ক্যান্সারের ঝুঁকির মধ্যে আছেন।
প্রফেসর হান ওরাল ক্যান্সারে ভোগা কিউ ঝেন-হুয়াং নামের এক রোগীর কথা জানান। ৫৪ বছর কিউ ১০ বছর ধরে নিয়মিত পান-সুপারি খাওয়ায় এখন ওরাল ক্যান্সারে ভুগছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে কিউয়ের গালে একটি ছোট ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল। যা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। অস্ত্রোপপচার করে ক্ষতস্থান কেটে ফেলা হলেও খাবার খেতে এবং লোকসম্মুখে যেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাকে।