বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের বড় হুমকি লবণ পানির আগ্রাসন। জলবায়ু পরিবর্তন এবং ফারাক্কা বাঁধের প্রভাবে সুন্দরবন অভিমুখে মিঠা পানির সরবরাহ কমতে থাকায় সমুদ্র থেকে লবণ পানি উঠে আসছে। এ কারণে সুন্দরীসহ মিঠা পানির উদ্ভিদ হুমকির মুখে পড়ছে। খাবার পানির সংকটে পড়ছে বন্যপ্রাণী।
সুন্দরবনে নোনা ও মিঠা পানির সংমিশ্রণে বেঁচে থাকে বিভিন্ন বৃক্ষরাজি। বিশাল এই বনকে জালের মতো জড়িয়ে রেখেছে দু’ ধরনের জলের ধারা। ছোট-বড় নদীগুলোতে যেমন ছিলো মিঠা পানির প্রবাহ তেমনি রয়েছে সামুদ্রিক নোনা পানির ধারা ও কাদাচর।
বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, উজানের ফারাক্কা বাঁধের কারণে সুন্দরবন অভিমুখে মিঠা পানির প্রবাহ কমে এসেছে। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাড়ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা। ফলাফল নোনা ও মিঠা পানির সমন্বয়হীনতা। এতে মিঠা পানির উদ্ভিদ সুন্দরী কমছে এবং নোনা পানিসহিষ্ণু উদ্ভিদ কেওড়া, বাইন, গেওয়া ও গড়ানের সংখ্যা বাড়ছে।
সুন্দরবনকে তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য টিকিয়ে রাখতে হলে যে কোনো মূল্যে মিঠা পানির প্রবাহ বাড়ানোর কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
উজানের দেশগুলো থেকে সরকারকে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের তাগিদ দিয়েছেন তারা।
পাশপাশি- মিঠা পানির নদী ও খালগুলোকে খনন করতে হবে। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন লবণপানি ও মিঠাপানির সমন্বয় হবে তেমনি বন্যপ্রাণীর খাবার পানির সংস্থান হবে।
বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টে: