কক্সবাজার থেকে: সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ছে বেলাভূমিতে। মাঠে বসেই পাওয়া যাচ্ছে ভেসে আসা আওয়াজ। কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টের সারিবদ্ধ ঝাউবনের ফাঁক গলে দেখা যাচ্ছে সমুদ্রও। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের মুগ্ধকর এমন পরিবেশে মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভালে ব্যাট-বল হাতে নেমেছিলেন সোনালী অতীতের নায়কেরা। শনিবার বিকেলে খালেদ মাহমুদ সুজনের বেক্সিমকো ঢাকা মাস্টার্সের শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে ভেঙেছে তাদের চারদিনের মিলনমেলা।
শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে খালেদ মাসুদ পাইলটের এয়ার এশিয়া রাজশাহী মাস্টার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপার হাসিতে মেতেছে সুজন-অপিরা।
টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা জয়ের খুব কাছে চলে গিয়েছিল রাজশাহী। তাদের স্বপ্ন ভাঙেন সজল চৌধুরী ও ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স। ১০০ বলের ম্যাচে ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা। সেখান থেকে সজল ও ডিকেন্স মিলে ৭৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জেতান ইনিংসের শেষ বলের বাউন্ডারিতে।
সজল ৪৮ ও ডিকেন্স ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন। মেহরাব হোসেন অপি ১৩ ও ওপেনিংয়ে নামা সুজন ১১ রান করেন।
আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান তোলে রাজশাহী। ওপেনার এহসানুল হক সেজানের ৪৬ বলে ৪৮ ও খালেদ মাসুদ পাইলটের ২০ বলে অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ গড়ে আগেরবারের চ্যাম্পিয়নরা।
মাস্টার ওভার করা ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স ৪.৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। একটি উইকেট নিয়েছেন তালহা জুবায়ের।
তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত মাস্টার্স ক্রিকেট খেলতে নেমেছিলেন আকরাম, দুর্জয়, সুমন, ফারুক, বিদ্যুৎ, শান্তদের মতো সাবেকরা। যেখানে শেষ হাসি সুজনদের। আগামীবার আরও বড় পরিসরে সাবেকদের খেলা আয়োজনের কথা জানালেন সুজন। যেখানে দেশের ক্রিকেটার ছাড়াও অংশ নিতে পারেন শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের সাবেকদের দল।