প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনই তাতিয়ে দিয়েছেন দলকে। যে কারণে এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছে রাশিয়া দল। ১৯৭০ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলছে রুশরা। পুরো দেশ রয়েছে দলের সঙ্গে।
শেষ আটের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে নামার আগে কোচ স্তানিস্লাভ চেরচেশভ বলেছেন, স্পেনের ম্যাচের পর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। যখন দেশের প্রেসিডেন্ট আপনাকে ডাকে, তখন বুঝতে হবে, আপনি ভালো কিছুই করছেন। তার কয়েকটা কথাই আমাদের বেশি তাতিয়ে দিয়েছে।
রাশিয়ার মতো ক্রোয়েশিয়ার কাছেও এই বিশ্বকাপ অন্য এক স্বপ্নের। ২০ বছর আগে শেষ বার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল ক্রোয়েটরা। যা আরও একবার করে দেখাতে চাইছে তারা।
সোচিতে রুশদের বিরুদ্ধে নামার আগে দলের তারকা ফুটবলার ইভান পেরিসিচ যেমন বলেছেন, ‘১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপে যে দলটা সেমিফাইনালে উঠেছিল, তাদের সঙ্গে নাকি আমাদের অনেক মিল। এ নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে। আমার মনে হয়, আমাদের তার থেকেও বেশি দূরে যাওয়ার ক্ষমতা আছে।
ফ্রান্স বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার সেরা তারকা ছিলেন ডেভর সুকার। সেই স্মৃতিই ফেরাতে চাইছেন মদ্রিচ-রাকিটিচরা।
বিশ্বকাপ শুরুর আগেই রাশিয়াকে কেউ হিসাবেই রাখেনি। কিন্তু সেই রাশিয়া কীভাবে কোয়ার্টারে উঠল? এই প্রশ্নের উত্তর নিজেই দিয়েছেন কোচ চেরচেশভ।
রুশ কোচের ব্যাখ্যা, ‘আমরা রাশিয়ানরা সবসময় বাড়াবাড়ি রকমের কিছু ভাবি। বড় স্বপ্ন দেখি। এক স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানের আগেও ছিল। ক্রোয়েশিয়া ম্যাচেও থাকবে। তবে আমরা অলীক স্বপ্ন দেখছি না। যেটা করে দেখানোর কথা ভাবছি, সেটা করতেই মাঠে নামব।’
অন্যদিকে, বিশ্বকাপ জেতার জন্য রাশিয়ায় এসেছে ক্রোয়েশিয়া। লুকা মদ্রিচ থেকে শুরু করে ইভান রাকিটিচ, মারিও মানজুকিচদের ভাবনা একই সূত্রে গাঁথা। মদ্রিচের দুর্দান্ত ফর্ম আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ক্রোয়েটদের।
পেরিসিচ বলেছেন, ‘মদ্রিচ আমাদের অধিনায়ক। নেতা। আমরা সবসময় তার পাশে আছি। সব দলেই ব্যক্তিগত নৈপুণ্য থাকে। কিন্তু সব ছাপিয়ে আমরা দল হিসেবেই খেলার চেষ্টা করছি। কারণ একমাত্র দলগত খেলাই আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।’