ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সংরক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে স্থানান্তরের ঘটনা নিয়ে এবার ফেসবুকে পোস্ট দিলেন সিলেটটুডে টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক কবির য়াহমদ। নিজের ফেসবুকে তিনি এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেন।
নিজের পোস্টে টাকা ট্রান্সফারের কিছুদিক তুলে ধরে কবির য়াহমদ লিখেন, সুইফট (SWIFT) অপারেশনের জন্যে আইডি পাসওয়ার্ড ছাড়াও তিন ধরনের লেবেল থাকে। অপারেটর/ইউজার লেবেল, চেকিং লেবেল ও অথোরাইজেশন লেবেল। এ তিনটা ধাপ অতিক্রমের পরেই কেবল ট্রান্সফার নির্দেশনা মূল জায়গায় যায় এবং তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রান্সজেকশন সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০কোটি টাকা লোপাটের সঙ্গে এখানকার ব্যাংক কর্মকর্তারা জড়িত- এতে সন্দেহ আছে এমন ভাবার কারণ নাই। মূল চক্র ব্যাংকের বাইরের কেউ হতে পারে। আর অসাধু কর্মকর্তারা নিজেদের ভাগটা হয়ত বুঝে নিয়েছে।
সুইফট অপারেশন নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে কবির য়াহমদ লিখেন, সুইফট অপারেশন নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা আছে। ভুল করার অভিজ্ঞতায় একবার নিউইয়র্ক এইচএসবিসি-তে না পাঠিয়ে ফান্ড পাঠিয়ে দিয়েছিলাম লন্ডন এইচএসবিসি-তে। আমি ছিলাম চেকিং লেবেলে, ইউজারের ভুলটা চোখে পড়ে নি আমার। এটা হয়েছিল সামান্য এক সুইফট কোড ভুলের কারণে।
ভাগ্যিস পাউন্ড একাউন্টে ডলার পাঠানোয় সেটা কার্যকর না হয়ে পরের দিন ফিরে এসেছিল। অবশ্য এজন্যে একদিনের জরিমানা ইন্টারেস্ট গুণতে হয়েছিল। সুইফট নিয়ে বলা কথাগুলো অভিজ্ঞতা থেকেই!