২০১৫-তে আসা প্রায় ৮০ হাজার আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে নিজ নিজ দেশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে সুইডেন।
সুইডিশ গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ডার্স ইগাম্যান।
তিনি বলেন, ‘আমরা আপাতত ৬০ হাজার মানুষের কথা বলছি, তবে সংখ্যাটি বেড়ে ৮০ হাজার পর্যন্ত যেতে পারে।’
সরকার অভিবাসীদের দায়িত্বে থাকা পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
ইগাম্যান জানান, সাধারণত এ ধরণের বিতাড়নের কাজে বাণিজ্যিক ফ্লাইট ব্যবহৃত হলেও অভিবাসীর সংখ্যা এতো বেশি হওয়ায় বিমান ভাড়া করে টানা কয়েক বছর ধরে এদের সুইডেন থেকে বের করা হবে।
বিশেষ করে সিরিয়া, যুদ্ধকবলিত ইরাক ও আফগানিস্তান থেকে গ্রিসসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে স্রোতের মতো পালিয়ে আসা শরণার্থীদের সামলাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইডেন।
সুইডেন ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জনসংখ্যার প্রেক্ষিতে সবচেয়ে বেশি শরণার্থী নিয়েছে ২০১৫ সালে। গতবছর সুইডেনে প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার আশ্রয় আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ৫৮ হাজার ৮০০ আবেদনপত্র প্রক্রিয়াকরণের পর তার ৫৫ শতাংশ গৃহীত হয়।
তবে গত ৪ জানুয়ারি থেকে দেশটিতে ঢোকার সময় শরণার্থীদের ছবিসহ পরিচয়পত্র দেখা শুরু হলে শরণার্থীদের আগমন নাটকীয়ভাবে কমে যায়।
শরণার্থী সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গত সোমবার সুইডেনের একটি অতিরিক্ত জনাকীর্ণ শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত এক কিশোরের ছুরিকাঘাতে এক কর্মচারীর মৃত্যুর ঘটনার পর আরো কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজন বলে মঙ্গলবার দাবি করে সুইডিশ কর্তৃপক্ষ।
সুইডেনের আগেই প্রতিবেশী দেম ডেনমার্ক শরণার্থী আগমন নিয়ন্ত্রণ করতে ডেনমার্কে ঢোকার সময় তাদের মূল্যবান দ্রব্যাদি জব্দ করার বিষয়ে একটি নতুন আইন প্রণয়ন করে। আইনটি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে।