সুঁই আর সুতোর বুননে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে যশোরের নারীরা। আত্মকর্মসংস্থানের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছেন তারা।
জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামের নারীদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় তৈরি নকশীকাঁথার চাহিদাও রয়েছে দেশে-বিদেশে।
প্রাচীনকাল থেকেই গ্রামীণ নারীরা শাড়ির পাড় থেকে নানারঙের সুতো তুলে সেলাই করতেন কাঁথা, ওয়ালম্যাট, কুশনসহ আরো নানা জিনিস। নকশী সেলাই যশোরে বাণিজ্যিক শিল্পে রূপ নিয়েছে বছর ছয়েক আগে। অনেক নারী উদ্যোক্তা গ্রামের মেয়েদের সেলাই করা নকশীকাঁথা পাঠান রাজধানীতে। সেখান থেকে চলে যায় দেশের বাইরেও।
নকশীকাঁথা শিল্প দিয়ে সাবলম্বী হওয়া কয়েকজন নারী জানান, তাদের নিজেদের অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি বেশ কয়েকজনের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করেছেন তারা।
অবসরে আবার ঘরে বসেই অনেকে আয় করছেন ৫-৭ হাজার টাকা। এই সূচিশিল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের পাশাপাশি শহরের শিক্ষিত তরুণীরাও।
তারা জানান সূচিকর্ম ও ব্লক-বাটিক প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন তারা। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে শিল্পটি স্থানীয় পর্যায়ে নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা।
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা তনুজা রহমান মায়া বলেন,‘ সুদ মুক্ত ঋণ বা স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া হলে নারীরা আরও এগিয়ে যেতে পারতো’।