জাকির হাসান, সাভার প্রতিনিধি: সাভারে প্রশাসনের সিলগালা করে দেয়া হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আবারও ভুল চিকিৎসায় সংকটাপন্ন আমিনুল ইসলাম নামে এক যুবকের জীবন।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ছেলের পেটে ব্যথার চিকিৎসার জন্য পারভীন বেগম এবং আব্দুর রশিদ দম্পতি তাদের সন্তান আমিনুল ইসলামকে নিয়ে যান সাভারের তালবাগে সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেড নামের একটি হাসপাতালে। ওই হাসপাতালটি ইতিপূর্বে সিলগালা করা হয়েছিল।
হাসপাতালের মালিক ডা: আবু তাহের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই অ্যাপেন্ডেসাইটিসের অপারেশন করার পর সংকটাপন্ন হতে থাকে আমিনুলের অবস্থা। টানা আট দিন সেখানে চিকিৎসার পর পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হলে তাকে নেয়া হয় পার্শ্ববর্তী সুপার হাসপাতালে।
সেই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পুনরায় অপারেশন করে দেখতে পান আমিনুলের পেটের সব নাড়িভুড়ি পেঁচিয়ে আছে। চিকিৎসকের গাফিলতি এবং অবহেলার কারণে এমন পরিস্থিতি বলে মন্তব্য করেন তারা।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার সাভার থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত চিকিৎসককে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সায়েমুল হুদা জানান, সফরে তিনি যোগদান করার আগে এবং পরে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যুর কথা শুনেছেন।
তিনি আরও বলেন, একাধিকবার ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়ার পরও সেখানে কী করে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।
এ বিষয়ে জানতে সাভার সেন্ট্রাল হাসপাতালের মালিক ডাক্তার আবু তাহেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কোর্সের ক্লাসে রয়েছেন। এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন।