সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে তৃতীয়বারের মতো ক্লোরিন গ্যাস হামলার অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের তদন্ত শেষে তৈরি প্রতিবেদনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
জাতিসংঘ ও ‘রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা’র ১৩ মাস ধরে পরিচালিত তদন্ত শেষে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছরের মার্চে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিষাক্ত গ্যাস হামলাটি দেশটির সরকারি বাহিনীই চালিয়েছিল।
হামলাটিকে ‘বর্বর’ বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ।
অনুসন্ধান কর্মকর্তারা জানান, ওই সময় সিরিয়ার সেনা ঘাঁটিগুলো থেকে রওনা হওয়া হেলিকপ্টার থেকে ঘটনাস্থলে ক্লোরিন গ্যাসযুক্ত অনেকগুলো ব্যারেল বোমা ফেলা হয়েছিল। এ ধরণের বোমা ব্যবহার অনেক আগে থেকেই নিষিদ্ধ।
এর আগে গত আগস্টে প্রকাশিত আরেকটি তদন্ত প্রতিবেদনে সিরিয়া সরকারকে দু’টি ক্লোরিন হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছিল। আগের দু’টি হামলার অভিযোগ অস্বীকার করলেও নতুন হামলার ব্যাপারে এখনো কিছু বলেনি দেশটির সরকার।
রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতায় ২০১৩ সালে হওয়া এক চুক্তির অধীনে সিরিয়া তার কাছে থাকা সব ধরণের রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ওই চুক্তিতে সমর্থন জানিয়ে এর সঙ্গে আরেকটি অংশ যোগ করেছিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সেই অংশটিতে বলা হয়, প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করলে জাতিসংঘ সনদের সপ্তম অধ্যায় অনুসারে সিরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।