যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় গত ১০ দিনে সরকার ও তার জোটের বিমান হামলায় ২৬ শিশুসহ অন্তত ১০৩ জন নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান এ তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার সংস্থাটি একটি বিবৃতিতে এ কথা জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটির বিভিন্ন বিদ্যালয়, হাসপাতাল, বাজার এবং বেকারিতে এ বিমান হামলা চালায় সরকার ও তার জোট।
মিশেলে বেশলেট বলেন, ‘সিরিয়ার সরকার বেসামরিক স্থাপনাকে এমনভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে যাতে সব হামলাকে এক ধরনের দুর্ঘটনা বলে তুলে ধরা যায়। দেশটিতে এমন হামলা বেসামরিক মানুষদের মৃত্যুর হার যেভাবে বাড়ছে তাতে স্পষ্টত আন্তর্জাতিক উদাসীনতা প্রকাশ করছে। এটা বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্র প্রধানদের ব্যর্থতা।
ওই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘এ হত্যা বন্ধ করতে আমাদের সকলকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যদি এ বিষয়ে অতীতের ন্যায় নীরব ভূমিকা পালন করতে থাকে তাহলে এ সংঘাত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর মতে, গত ৩ মাসে সিরিয়ার সহিংসতা বৃদ্ধি পেলে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ গৃহচ্যুত হয় এবং সীমান্ত পার হয়ে তুরস্কে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়। এই সহিংসতায় শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।
সিরিয়ার সরকার এবং তার প্রধান সহযোগী রাশিয়া, উভয়ই সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সেখানে সামরিক নিয়ন্ত্রণ লাভের জন্য বিমান হামলা চালিয়ে সমালোচিত হয়েছে। যদিও আসাদ ও তার জোট বেসামরিকদের বা বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
আন্তর্জাতিকভাবে বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা ও হামলার আদেশকারী উভয়ই সমানভাবে তাদের কাজের জন্য যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী হওয়ার বিধান রয়েছে।