সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার তদন্তের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া অন্তত দশবার ভোটো দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিক্কি হ্যালি বলেন: ভবিষতে এ ধরণের রাসায়নিক আক্রমণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সক্ষমতাকে প্রশ্নের মুখোমুখি করেছে রাশিয়া।
তবে মার্কিন দূতের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ান দূত বলেন: যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো এই তদন্তকে প্রভাবিত করেছে।
অন্যদিকে সিরিয়ায় রাসায়নিক বোমা হামলার প্রমাণ মিলেছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা দাবি করেছে। এই হামলার তদন্তে ২০১৫ সালে গঠিত ‘দ্য জয়েন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম (জেআইএম)’ এর তদন্ত শেষে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আসাদ সরকার শুরু থেকে রাসায়নিক হামলার কথা অস্বীকার করে আসলেও তদন্ত প্রতিবেদনে সিরিয়ার এয়ার ফোর্সকে এই হামলার জন্য দায়ী করা হয়। প্রতিবেদন পাওয়ার পর অবশ্য আসাদ সরকার বিষয়টিকে জালিয়াতি বলে আখ্যা দিয়েছেন।
রাসায়নিক হামলার অভিযোগ আসার পর আসাদ বলেছিলেন: নিজের জনগণের ওপর এরকম হামলা চালানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই, পরিস্থিতিও নেই। বরং এই হামলা যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদের নীলনকশা। সিরিয়ার বিমানঘাঁটি ধ্বংসের লক্ষ্যে মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিয়ার সেনাবাহিনীও মনে করে আসাদ সরকার এবং রাশিয়াকে বিতর্কিত করতেই কৌশলে কথিত ইসলামিক স্টেটের রাসায়নিক অস্ত্রের গুদামে বিমান হামলা করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন বিমানবাহিনীর কর্নেল জন ডোরিয়ান এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন: ওই সময়ে আমরা সেখানে কোনো বিমান হামলা চালাইনি।
তিনি আরও বলেন: আসাদ ও তার অনুগত সেনাবাহিনীর এই দাবি সঠিক নয়। আসাদ সরকার জেনেশুনে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে।
কিন্তু সিরীয় সেনাবাহিনীর ভাষ্যমতে: রাসায়নিক অস্ত্রের শিকার হয়ে এতো সাধারণ মানুষের প্রাণহানী এটাই প্রমাণ করে যে, কথিত আইএসের হাতে এই ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র আছে। আর সিরিয়ার মিত্র রাশিয়ার সন্দেহ মার্কিন মদদ পাওয়া আসাদ বিরোধীদের গুদামেই ছিলো এই ভয়ঙ্কর অস্ত্র।
সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুন শহরে হওয়া রাসায়নিক হামলায় নারী ও শিশুসহ ৮৯ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়।