সফরকারি ভারতের বিরুদ্ধে ২-০ তে এগিয়ে থেকে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃষ্টি বিঘ্নিত দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ধোনি বাহিনীর বিরুদ্ধে ৫৪ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় মাশরাফি-মুশফিকরা।
৪৪ ওভারে বৃষ্টির হানা দিলে, ৩ ওভার কমিয়ে খেলা ৪৭ ওভারে নামিয়ে আনেন ম্যাচ রেফারি। ভারত তার প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ২০০ রান। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯৯ রান। তামিম-সৌম্য জুটি বাংলাদেশের ভালো একটি সূচনা এনে দিলেও ৩৪ রানে তামিমের বিদায়ে শংকা জাগে লাল-সবুজের ভক্তদের মনে।
তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সৌম্য লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ৫৪ রান যোগ করলে জয়ের পালে হাওয়া লাগে বাংলাদেশের। ৮৬ রানে সৌম্য বিদায় নিলে লিটনকে সঙ্গে নিয়ে দলে হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। সৌম্য অক্ষর প্যাটেলের শিকার হয়ে ফেরার আগে ৪৭ বল থেকে সংগ্রহ করেন ৩৪ রান।
১২ রানের মধ্যে আবারও লিটন প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে মুশফিকের সঙ্গি হন দেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। দু’জনে স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৫৬ রান। জয়ের বন্দর থেকে ৪৭ রান দূরে থাকতেই ফেরেন মুশফিক। রান আউট হয়ে ফেরার আগে মুশফিক ৩৪ বল থেকে সংগ্রহ করেন ৩১ রান।
সাকিবের সঙ্গি হন সাব্বির। দুজনে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন। সাকিব ৫১ রানে ও সাব্বির ২২ রানে অপরাজিত থাকেন।
ভারতের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন অশ্বিন, অক্ষরও ধাওয়াল কুলকারনি।
এর আগে, দিনের শুরুতেই টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক মহন্দ্রে সিং ধোনি। তবে অধিনায়কের সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করে স্কোর বোর্ডে কোন রান যোগ না হতেই দ্বিতীয় বলেই ‘ম্যাজিক বয়’ মুস্তাফিজের শিকারে পরিনত হন রোহিত শর্মা।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ধাওয়ান-কোহলি দুজনে ৭৪ রান যোগ করলে বড় সংগ্রহের আশা জাগে সফরকারিদের। দলীয় ৭৪ রানে কোহলি নাসির হোসেনের শিকারে পরিনত হলে নিয়মিত বিরতিতে বিদায় নেন ধাওয়ান ও রাইডু। ধাওয়ান দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন।
পঞ্চম উইকেটে রায়না ও ধোনি ৫৩ রানে জুঁটিতে টাইগারদের সামনে বড় টার্গেট শংকা জাগায়। তবে ব্যক্তিগত ৪৭ রানে ধোনি মুস্তাফিজের শিকারে পরিনত হলে সে আশাও শেষ হয় ভারতীয়দের। এরপর নিয়মিত বিরোতিতে উইকেট পড়লে ৪৫ ওভারেই অল-আউট হয় বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটিং লাইন আপ।
টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান।