ব্যাট হাতে টম ল্যাথাম, বিজে ওয়াটলিংয়ের দাপটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত হয়ে উঠলেন বোলাররা। তাতে দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ইনিংস ও ৬৫ রানে হারিয়ে দু’ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ১৮৭ রানে পিছিয়ে থেকে পঞ্চমদিন দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১২২ রানেই শেষ হয়ে যায় লঙ্কানদের ইনিংস।
গলে প্রথম টেস্ট ৬ উইকেটে হেরে পিছিয়ে পড়লেও কলম্বোয় ইনিংস ব্যবধানে জিতে সিরিজ অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ করল বিশ্বকাপ রানার্সআপরা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুতে দুই দলই সংগ্রহ করল ৬০টি করে পয়েন্ট।
বৃষ্টিবিঘ্নিত কলম্বোয় সিরিজ নির্ধারণী টেস্টের প্রথম দু’দিন কার্যত ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। দু’দিন মিলিয়ে সর্বসাকুল্যে বল গড়ায় ৬৬ ওভার। তৃতীয়দিন প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়ে যায় ২৪৪ রানে।
জবাবে চতুর্থদিন ওপেনার টম ল্যাথামের ১৫৪ রান, ওয়াটলিং ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের অর্ধশতরানে চালকের আসনে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। চতুর্থদিন ১৩৮ রানে এগিয়ে থেকে খেলা শেষ করে কিউইরা। পঞ্চমদিন রানের ব্যবধান কিছুটা বাড়িয়ে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে অল্পতে দেয়াই প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল নিউজিল্যান্ডের।
চতুর্থদিন ৮৩ রানে অপরাজিত গ্র্যান্ডহোম কোনো রান যোগ না করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন পঞ্চমদিন। তবে ৮১ রানে অপরাজিত ওয়াটলিং পঞ্চমদিন সকালে ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরিটি পূর্ণ করেন। ৬ উইকেটে ৪৩১ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। ১৮৭ রানে এগিয়ে থেকে এরপর জয়ের জন্য বোলারদের দিকে তাকিয়ে ছিল তারা। হতাশ করেননি ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদিরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে রানের খাতা না খুলেই ফেরেন লাহিরু থিরিমান্নে। রানআউট হন তিনি। এরপর শূন্য রানে বোল্টের ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি হন কুশল পেরেরা। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা কিউই বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ব্যতিক্রম শুধু নিরোশান ডিকেভেল্লা, ৫১ রান করে সামাল দেয়ার চেষ্টা করলেও উল্টোদিকে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে থাকে লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথম ইনিংসে শতরানের নায়ক ধনঞ্জয়া ডি’সিলভা ফেরেন মাত্র ১ রান করে।
অষ্টম উইকেটে সর্বাধিক ৪০ রান যোগ করে ডিকেভেল্লা -লাকমল জুটি। শেষ পর্যন্ত ১২২ রানেই থেমে যায় তাদের দ্বিতীয় ইনিংস।
ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, আজাজ প্যাটেল ও উইলিয়াম সমারভিলে নেন ২টি করে উইকেট। শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক করুণারত্নেকে আউট করার সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটে এদিন ২৫০ উইকেটের মালিক হন সাউদি। একটি উইকেট নেন গ্র্যান্ডহোম।