সিরাজগঞ্জে হঠাৎ করেই দু দফা শিলাবৃষ্টির আগমনে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশির ভাগ পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরম লোকসানে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। ধানের বাজারদরও অর্ধেকে নেমে আসায় তা যেনো কৃষকের কাছে মরার ওপর খাড়ার ঘা।
কোন কোন কৃষক প্রতি বিঘায় ৩ থেকে ৪ মন ধান পেলেও, এক দানা ফসলও রক্ষা হয়নি অনেক কৃষকের।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক তাদের আথির্ক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে বলেন, শিলা বৃষ্টির কারনে ধান পড়ে শেষ হয়ে গেছে। বিঘায় একমণ ধানও আমাদের হচ্ছে না। ধান কাটার জন্য কামলা রাখার পয়সাও নাই।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সদর ও রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষকেরা। তারা স্থানীয়ভাবে চড়া সুদে ঋন নিয়ে বোরো আবাদ করেন এবার।
ঋণগ্রস্থ একজন কৃষক তার দুরাবস্থার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ধান সব নষ্ট হয়ে গেলো। এখন আমরা ঋণ দেবো কিভাবে আর খাবেই বা কিভাবে?
স্থানীয় কৃষি বিভাগের প্রাথমিক হিসেবে ৮২ হাজার কৃষকের ৪৫ কোটি টাকা ক্ষতির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কৃষক ক্ষতিপূরন পাবেন কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি তারা।
সিরাজগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওমর আলী শেখ বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরি করে তাদের জমি ও অথ নিরুপন করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। সরকার সদাশয় হয়ে কোন পুনবার্সন কমর্সূচি হাতে নিলে অবশ্যই তা কৃষকদের কাছে পৌছে দেবো।
চলতি বছর জেলায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫’শ ৫৩ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয় ১ লাখ ৪২ হাজার ৪’শ ৫৫ হেক্টরে।