সিরাজগঞ্জে এবার বাঙ্গির ফলন বিপর্যয় ঘটেছে। শিলা বৃষ্টির কারণে ৩০ থেকে ৫০ ভাগ বাঙ্গি ক্ষেতই নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে আর্থিক ভাবে লাভবান তো দূরের কথা কৃষকরা খরচ কাটিয়ে উঠতে না পেরে লোকসানের আশঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
সিরাজগঞ্জের অনেক কৃষকই ধানের পাশাপাশি অর্থকারি ফসল হিসেবে বাঙ্গির আবাদ করে আসছেন। চলতি বছর সদর উপজেলাতে আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। গত কয়েক বছর বাঙ্গি আবাদ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হলেও এবার বিপর্যয়ের কারণে চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, সামান্য কিছু জমিতে তারা বাঙ্গির আবাদ করে থাকেন। কিন্তু সামান্য একটু শিলা বৃষ্টিতে তাদের বাঙ্গির আবাদ নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকরা জানান বাঙ্গির ফলন বিপর্যয়ের পাশাপাশি এর মান কমে যাওয়ায় বাজারে চাহিদাও কমে গেছে। একারণে সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না তারা।
তারা আরো বলেন, প্রতি বছর বাঙ্গির আবাদ করে বিঘায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু এই বছর শিলা বৃষ্টিতে বাঙ্গির ফলন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা ৪ হাজার টাকাতেও বিক্রি করতে পারেননি।
কৃষকদের সহযোগিতা দিতে নানা উদ্যোগের কথা জানান, স্থানীয় কৃষি বিভাগ। সিরাজগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক মোঃ ওমর আলী শেখ বলেন, সারা জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বাঙ্গি চাষ হলেও সদর উপজেলায় বাঙ্গির চাষ বেশি হয়। গত ১৮ এপ্রিলের শিলা বৃষ্টিতে বাঙ্গির অনেক ক্ষতি হয়েছে। নতুন ফুল, ফল, এমনকি পাকা ফলগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৫০% ক্ষতি হয়েছে।
চলতি বছর জেলায় এবার ৫৩ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।