রাজধানীর বাজারগুলোতে চিকন চালের পাশাপাশি মোটা চালের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। হঠাৎ চালের দাম বাড়ার কারণ ক্রেতারা বুঝতে না পারলেও খুচরা বিক্রেতারা মনে করছেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ানো হয়েছে। বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বয়ং খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, দেশে চালের কোনো ঘাটতি নেই। সরকারের চাল সংগ্রহে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী চালকল মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
ঈদের পর হঠাৎ করেই বাজারে বাড়তে শুরু করে চালের দাম।
চালের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা জানান, মোটা চালের দাম বেশি বেড়েছে। ঈদের আগের থেকে এখন পর্যন্ত কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। এর পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি আছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিলে চালের দাম কমানো সম্ভব।
দেশে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তারপরও চালের দাম কেন বাড়ছে তা জানতে চালকল মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুপুরে সচিবালয়ে বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন,’ আমাদের গুদামে যে চাল আছে তাতে কোনো সংকট নেই। এবার অতিরিক্ত ২৪ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হয়েছে। যতোই সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করা হোক না কেনো বাংলাদেশে ভারত থেকে চাল আমদানির শুল্ক কমানো হবে না,বহাল থাকবে।
এবার সরকারের বোরো চাল সংগ্রহের লক্ষ্য ৬ লাখ মেট্রিকটন। ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এই টার্গেট অর্জনের কথা ছিলো। এখন পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৮ শতাংশ চাল সংগ্রহ কম সংগ্রহ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ চুক্তি অনুযায়ী ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল আপনারা এখনো সরবরাহ করেন নাই। যদি কেউ চুক্তি ভঙ্গ করেন তাহলে তাকে ৫ বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হবে’।
হতদরিদ্রদের জন্য সরকারিভাবে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ কর্মসূচি চলার সময়ই সাধারণ বাজারে বেড়েছে চালের দাম। গরিব মানুষ যাতে ভোগান্তিতে না পড়েন সেজন্য ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণ কর্মসূচির পাশাপাশি ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং খুলনায় ওএমএস কার্যক্রমও চালু করতে যাচ্ছে সরকার।