প্রায় দেড় বছর ধরে দেশের সিনেমা হলগুলো একপ্রকার অচল। নতুন ছবি সংকটের সঙ্গে সঙ্গে করোনার কারণে বিধ্বস্ত অবস্থায় দেশের সিনেমা হলগুলো। এই করুণ অবস্থার উত্তরণে সরকারি সাহায্যের বিকল্প দেখছে না সিনেমা হল মালিকদের সংগঠন প্রদর্শক সমিতি।
সংগঠনটির নেতারা আসন্ন ঈদের জন্য সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন।
বুধবার প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল চ্যানেল আই অনলাইনকে খবরটি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঈদুল আযহায় সিনেমা হল খোলা থাকবে কিনা বলা যাচ্ছে না। ঈদ মৌসুমই মূলত সিনেমা হলের ব্যবসার আসল সময়। এই লোকসানের কারণে সরকারের সাহায্য চেয়ে প্রদর্শক সমিতি থেকে তথ্য মন্ত্রণালয় ও সরকার বরাবর আবেদন জানিয়েছি।
গত রোজার ঈদে শতাধিক সিনেমা হলে সরকার সাহায্য দিয়েছিলেন। প্রতি হল থেকে পাঁচজন কর্মীকে আড়াই হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, যদিও এই পরিমাণ অর্থ প্রয়োজনের তুলনায় একেবারে সীমিত। আসন্ন ঈদের জন্য হলের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কয়েকদিন আগে আবেদন করা হয়েছে।
শুধু ঈদের আর্থিক সাহায্য নয়, এর সঙ্গে সঙ্গে সিনেমা হলের জন্য সরকারি ঋণ ও প্রণোদনার বিষয়টি দ্রুত কার্যকর করার জন্যও তাগিদ দিয়েছেন প্রদর্শক সমিতির নেতারা। আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছেন সরকার। তাই সরকারি নির্দেশ মেনে প্রদর্শক সমিতি দেশের সব সিনেমা হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে দেশের সর্বাধুনিক সিনে থিয়েটার স্টার সিনেপ্লেক্স ও যমুনা ব্লক বাস্টারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি ঘোষণায় গত সোমবার থেকে মার্কেট বন্ধ থাকায় সিনেপ্লেক্স ও ব্লক বাস্টারও বন্ধ রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, শপিং মল খুললে আবারও সিনেমা হল খুলবেন।