রেডিও থেকে শুরু করে স্টেজ শো, টেলিভিশন নাটক ও সিনেমার পর্দায় নিয়মিত উপস্থিতি তার। কখনো জাঁদরেল নারী কিংবা কখনো একেবারে কৌতুকাচ্ছন্ন কোনো চরিত্রে! সবখানেই দর্শক শ্রোতাদের বিনোদিত করে চলেছেন তিনি।
বলছি অভিনেত্রী শবনম পারভীনের কথা। যিনি সিনেমায় পা রেখেছিলেন নায়িকা হিসেবে! পরবর্তীতে হয়ে উঠেন বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম খল অভিনেত্রী। প্রযোজনা করেছেন সিনেমা, পরিচালনাতেও তাকে দেখা গেছে।
‘আগুন পানি’র এই নায়িকা সম্প্রতি এসেছিলেন চ্যানেল আইয়ের নিয়মিত আয়োজন তিনশো সেকেন্ড এ। শাহরিয়ার নাজিম জয়ের উপস্থাপনায় এই শোতে ক্যারিয়ারের নানা বাকবদল নিয়ে সোজাসাপ্টা উত্তর দেন তিনি।
সিনেমায় আসা প্রসঙ্গে শবনম পারভীন বলেন, আমি যখন সিনেমায় আসি, তখন নায়িকা হয়েই এসেছিলাম। সিনেমাটির নাম ছিলো ‘আগুন পানি’। ছবিতে ছিলেন জাভেদ সাহেব ও ওয়াসিম ভাই। এরপর খলচরিত্রে চলে গিয়েছিলাম। নিজের প্রযোজিত সিনেমায় পরে ভিলেন হয়েছি।
ভিলেন হওয়া প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, আমি যে ছবিতে ভিলেন হয়েছি, সেই চরিত্র আমি না করলে হয়তো কোনো ছেলে মানুষ করতো।
চলচ্চিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা একরকম থাকলো না কেন, জয়ের এমন প্রশ্নে শবনম পারভীন বলেন, ‘অনেক সিনিয়র নির্মাতা আর এখন সিনেমা বানান না, বা নেই। অথবা আমাদের করার মতো চরিত্র এখন আর সেইভাবে তৈরী হচ্ছে না।’
শবনম বলেন, আমি একজন অভিনেত্রী। সব মাধ্যমে অভিনয় করে তৃপ্তি খুঁজি। সেটা সিনেমা হোক কিংবা হোক টেলিভিশন নাটক, রেডিও বা কোনো স্টেজ শো। আমার মূখ্য উদ্দেশ্য অভিনয়, সেটা আমি এখনও করে যাচ্ছি।
বাংলা সিনেমার সোনালী যুগের সাক্ষী শবনম পারভীন। বর্তমানে চলচ্চিত্রের দুরাবস্থা। এই সময়ে এসে তার কী পর্যবেক্ষণ, চলচ্চিত্রের অবস্থা কেন এমন হলো?
শবনম পারভীন এর এক কথায় উত্তর, ‘দায়িত্ববোধের অভাব’। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি জানালেন, আগের শিল্পীদের সময়জ্ঞান ছিলো। শাবানা আপার কথা যদি বলি, তিনি সকাল সাতটায় এসে সিনেমার সেটে উপস্থিত থাকতাম। আমরা যেহেতু তার পরে সিনেমায় এসেছি, তাই আমরা চাইতাম শাবানা আপার থেকে আরো ১৫ মিনিট আগে সেটে উপস্থিত থাকতে।
শবনম বলেন, এখন যেটা হয়ে গেছে সেটে যে যতো দেরী করে আসবে সে ততো বড় শিল্পী। এটা শুধু সিনেমায় না, এখন নাটকেও এই চল শুরু হয়ে গেছে।