১৭দিন গুহায় আটকে থাকার পর থাইল্যান্ডে রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষে সম্প্রতি উদ্ধার হয়েছে দেশটির ১২ কিশোর ফুটবলারসহ তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ। টানা তিনদিন ছিলো উদ্ধার তৎপরতা। আর এই পুরো ঘটনাটি সিনেমার পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে রীতিমত হইচই পড়েছে হলিউড পাড়ায়!
থাইল্যান্ডের গুহায় উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার আগেই শোনা গিয়েছিলো, এই শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনা নিয়ে হলিউডে তৈরি হবে একটি সিনেমা। এমনকি যিনি ছবিটির পেছনে অর্থ খরচ করবেন তিনি উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে সবকিছু পরখ করেন। এসময় সঙ্গে ছিলেন ছবির সম্ভাব্য পরিচালকও।
সবই ঠিক ছিলো। থাইল্যান্ডের গুহায় কিশোরদের উদ্ধার কাহিনী নিয়ে উৎসুক দুই প্রযোজক মাইকেল স্কট ও অ্যাডাম স্মিথ সবকিছু গুছিয়েও নিচ্ছিলেন। কিন্তু এরমধ্যে শোনা যাচ্ছে, থাইল্যান্ড-এর এই কাহিনি নিয়ে একাধিক প্রযোজনা সংস্থা ও নির্মাতা ছবি বানাতে আগ্রহ পোষণ করেছেন।
শ্বাসরুদ্ধকর উদ্ধারকাজ দেখতে এসে হলিউডের স্কট জানিয়ে ছিলেন যে এই কাহিনীকে তিনি চলচ্চিত্রে রূপ দিতে চান। তার মতে, এটি একটি সুপার হিট ছবির উপাদান। তিনি উদ্ধারকাজে অংশ নেয়া প্রায় অনেকের সঙ্গে উদ্ধার অভিযান নিয়ে কথাও বলেন। সাক্ষাৎকার নেন। এমনকি গুহায় আটকে থাকা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মানসিক অবস্থা জানতে তাদের সাথেও কথা বলেন। ভয়েস রেকর্ড নেন।
মোটামুটি সিনেমা করার পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই তিনি থাইল্যান্ডের গুহার আশপাশে অবস্থান করেন কয়েক দিন। যেনো নতুন ছবির প্রি-প্রোডাকশন গোছাচ্ছেন নির্মাতা স্মিথ। তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, শিগগির এই কাহিনি নিয়ে হলিউডের অন্যান্য পরিচালকও আগ্রহ বোধ করতে পারে। তাই তিনি আগে ভাগে সব গুছিয়ে নিচ্ছেন। যদিও তার প্রযোজক স্কটের স্ত্রী থাইল্যান্ডের বাসিন্দা। সেই হিসেবে সিনেমা করার অগ্রাধিকার তাদেরই অন্য যে কারো চেয়ে বেশি!
কিন্তু এমনটা বোধহয় আর হচ্ছে না। থাইল্যান্ডের এই কাহিনি নিয়ে সত্যি সত্যি হলিউডের অনেকেই সিনেমা নির্মাণ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে দুটি প্রযোজনা সংস্থার মধ্যে রীতিমত যুদ্ধ চলছে ছবিটি নিয়ে। স্মিথ ও স্কটের প্রযোজনা সংস্থা পিওর ফ্লিক্স এবং ইভানহু পিকচার্সের মধ্যে চলমান এই যুদ্ধে কে জিতবে বলা এখনো মুশকিল।
হলিউডের খবর, ইভানহু পিকচার্স নাকি থাইল্যান্ড সরকার ও নৌবাহিনীর কাছ থেকে অফিশিয়ালি ছবিটি নির্মাণের অনুমতি নিয়েছে। এরইমধ্যে কাহিনি নিয়ে গবেষণাও শুরু করেছে তারা। তবে শেষ পর্যন্ত ছবিটি পর্দায় কারা নিয়ে আসবেন, নাকি একাধিক ছবি নির্মাণ হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়।