চলচ্চিত্রের সব সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত চলচ্চিত্র পরিবার থেকে ‘নিষিদ্ধ’ হওয়ার পর মিশা সওদাগর বলেছেন, ‘সিনেমায় পাজি হলেও বাস্তবে কিন্তু আমি হাজী মানুষ। পরিস্কার পরিছন্ন ব্যক্তি। সিনেমার হুঙ্কার বাস্তবে দিতে চাই না, চাই শান্তি। শান্তির জন্যই এ সমস্যার সমাধানের অনুরোধ করছি। নইলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে শিল্পীরা কর্ম বিরতিতে যাবে।’
নানা অনিয়ম সামনে এনে ১৫ জুলাই দুপুরে এফডিসিতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে চলচ্চিত্রের অন্যান্য সংগঠন শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশাসহ সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করেন। অভিযোগ ছিল, চলচ্চিত্রকে তারা ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করে ফায়দা লুটছেন। শিল্পীদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছেন। এর কারণে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ডাকে মিশা-জায়েদ।
গেল রবিবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে মিশা বলেন, আমাদের ভয় দেখান কেন? আমরা এমনিতেই আপনাদের সম্মান করি। আমাদের ভয় যদি ভেঙ্গে যায়, তাহলে উল্টো আপনাদের ভয় দেখাবো। প্রযোজক আমাদের বাবা, পরিচালক হচ্ছে আমাদের মা। এটাই শিখেছি। সন্তান হিসেবে আমরা ভুল করতেই পারি! আমরা আর্টিস্টরা যদি না থাকি, প্রযোজক পরিচালক আপনারা কি ছবি বানাবেন কাকে নিয়ে?
মিশা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হবে। করোনার এই খারাপ সময়ে এগুলোর দরকার ছিল না। চাইলে আমরা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে পারতাম। আশা করি, সেভাবেই এর সমাধান হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে জায়েদ জানান, তার কাজে অন্যরা হিংসাপরায়ণ হয়ে তাকে অবাঞ্ছিত করেছে। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইলিয়াস কাঞ্চন, অঞ্জনা, ডিপজল, রুবেলসহ অনেকে। তারা প্রত্যেকেউ রেষারেষি মিটিয়ে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
এর আগে রবিবার সকালে মিশা-জায়েদের পদত্যাগ চেয়ে এফডিসির গেটে মানববন্ধব করে প্রায় শতাধিক সদস্যপদ হারানো চলচ্চিত্র শিল্পী। তারা মানবন্ধবে অভিযোগ করেন, ক্ষমতা বলে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ১৮৪ জনের সদস্যপদ বাতিল করেছেন। তাকে সাপোর্ট দিয়েছেন মিশা সওদাগর। এজন্য পুনরায় তারা সদস্যপদ ফিরে পাওয়ার আহ্বান জানান এবং মিশা-জায়েদ খানের পদত্যাগ চান।