চলচ্চিত্রে নায়ক বা নায়িকার পোষা প্রাণী হিসেবে প্রায়ই কুকুরের উপস্থিতি থাকে সিনেমায়। এসব ক্ষেত্রে সিনেমার গল্পে কুকুরের চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে আবার নাও হতে পারে। আবার কিছু সিনেমায় কুকুরই থাকে ‘হিরো’। পুরো গল্পই আবর্তিত হয় কুকুরকে ঘিরে। তেমনই ১০টি সিনেমা নিয়ে সাজানো হয়েছে ফিচারটি। এরমধ্যে ‘হাচি’র মতো সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ছবিও রয়েছে:
মার্লে অ্যান্ড মি (২০০৮): সুখী এক দম্পতি সিদ্ধান্ত নেয় তারা একটি কুকুর দত্তক নেবেন। মার্লে নামের এক কুকুর তাদের জীবনে আসে এবং জীবন সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিক্ষা দেয়। পোষা প্রাণী থাকলে জীবনের অনেক কঠিন পরিস্থিতিও সহজ হয়ে যায়, এমনটাই দেখানো হয়েছে সিনেমায়।
এইট বেলো (২০০৬): অ্যান্টার্কটিকের ঠাণ্ডা আবহাওয়ার জন্য জেরিকে তার এলাকা ছাড়তে হয়। জেরি না ফেরা পর্যন্ত তার বিশ্বস্ত ৮ কুকুরকে থেকে যেতে হয় আগের স্থানেই। এই কুকুরগুলোর টিকে থাকার লড়াই নিয়ে তৈরি হয়েছে সিনেমাটি। এই সিনেমাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।
১০১ ডালমেশিয়ানস (১৯৯৬): আনিতা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার এবং রজার কম্পিউটার গেম রাইটার। তারা একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত নারীর কাছ থেকে ডালমেশিয়ান ছানাদের উদ্ধার করেন। সেই নারী কুকুরগুলোর চামড়া দিয়ে নিজের জন্য কোট তৈরি মতলব এঁটেছিলেন। খুব সাধারণ গল্পের মজার সিনেমা এটি।
আইল অব ডগস (২০১৮): সিনেমার গল্প একটি দ্বীপকে ঘিরে। জাপানে ‘ক্যানাইন ফ্লু’র কারণে কুকুরদের খাঁচায় বন্দী করে ফেলে দেওয়া হচ্ছে অনেক দূরের একটি দ্বীপে। হঠাৎ একদিন সেই দ্বীপে একটি কুকুরের খোঁজে আসে আতারি নামের এক ছেলে। এগিয়ে যায় অ্যানিমেশন ফিল্মটির মজার গল্প।
হাচি: অ্যা ডগস টেল (২০০৯): জাপানের একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। রিচার্ড গিয়ার ছবিতে অভিনয় করেছিলেন প্রফেসর পার্কার উইলসনের ভূমিকায়। ট্রেন স্টেশনে তিনি একটি হারিয়ে যাওয়া কুকুর খুঁজে পান। বহু খুঁজেও মালিক পাওয়া না গেলে স্ত্রীর আপত্তি থাকা সত্ত্বেও নিজের বাড়িতেই কুকুরটিকে রাখেন তিনি। এক জাপানী বন্ধুর মাধ্যমে কুকুরটির গলায় থাকা লকেট থেকে জানতে পারেন এটির নাম ‘হাচি’। তিনি কাজে যাবার সময় এবং বাড়ি ফিরে আসার সময় হাচি তার জন্য ষ্টেশনে অপেক্ষা করে থাকতো। একদিন কর্মস্থলেই অসুস্থ হয়ে প্রফেসর মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু হাচি তার অপেক্ষার হাল ছাড়ে না। দীর্ঘ নয় বছর স্টেশনে তার জন্য অপেক্ষা করতে করতে অসুখে একদিন তার মৃত্যু হয়। মনিবের প্রতি হাচির ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে জাপানে এই কুকুরটির ব্রোঞ্জের মূর্তিও রয়েছে।
ফাইন্ডিং রিন টিন টিন (২০০৭): অপ্রত্যাশিতভাবে ভাবে তৈরি হওয়া বন্ধুত্বের গল্প এটি। কঠিন পরিস্থিতিতে কুকুররা কতটা সাহসী এবং বিশ্বস্ত, সেটাই দেখানো হয়েছে সিনেমায়।
লেডি অ্যান্ড দ্য ট্রাম্প (১৯৫৫): ক্লাসিক অ্যানিমেশন রোমান্টিক গল্পের ছবি লেডি অ্যান্ড দ্য ট্রাম্প। দুই পরিবেশে বড়ো হওয়া দুটি কুকুরের প্রেমে পড়ার গল্প নিয়ে এই ছবি তৈরি হয়েছে।
লাসসি (২০০৬): বাবা চাকরি হারানোর কারণে পোষা কুকুরকে এক ধনী পরিবারের কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয় একটি ছেলে। কুকুরটি সেই পরিবার থেকে অনেক কষ্টে ফিরে আসে তার ছেলেটির কাছে।
ওল্ড ইয়েলার (১৯৫৭): ওয়াল্ট ডিজলি প্রযোজিত এই সিনেমাটি একটি ছেলে ও পথের একটি কুকুরের মাঝে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে।
বেনজি (১৯৭৪): আশ্রয়হীন একটি কুকুরের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবিটি যে অপহরণকারীর কবল থেকে দুটি শিশুর জীবন বাঁচায়। হাই অন ফিল্মস