যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে হলিউড অ্যান্ড হাইল্যান্ড সেন্টারের ডলবি থিয়েটারে গতকাল স্থানীয় সময় বিকাল পাঁচটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ৯০তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান। অস্কারের আসর শেষ হওয়ার পর দুটি ছবি দেখে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন নির্মাতা ও প্রযোজক আনোয়ারুল কাদির খোকন।
‘এবারের অস্কার পাওয়া ছবি, দা শেপ অব ওয়াটার’ আর ‘ডার্কেষ্ট আওয়ার’ এর ট্রেলার দেখলাম। একটা ব্যাপার,সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে সারা পৃথিবী ছবি করে, আমরা করি না। কুয়োর ব্যাঙের অবস্থা আর কি। আমিও।
আমার ব্যক্তিগত ধারনা, আমরা যে সব ছবি করছি তার পাশাপাশি সিনিয়র আর্টিস্টদের নিয়ে ছবি করা এখন খুব দরকার। আলমগীর ভাই, পারভেজ ভাই, ফারুক ভাই, ওয়াসিম ভাই, কাঞ্চন ভাই, রুবেল ভাই, অমিত, রিয়াজ, ফেরদৌস, সানি, সুচরিতা আপা মৌসুমী সহ যাদের পাওয়া যায়, তাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মাল্টিকাস্ট জাতীয় ছবি বছরে ৫/৭ টা কাজ করা উচিৎ। এদের সাথে নতুন ছেলেমেয়ে থাকলো। এতে অনেক লাভ। প্রথমত জেনারেশান গ্যাপটা হয় না। তারপর জুনিয়র শিল্পীরা বড়দের কাছ থেকে অনেক অনেক কিছু শিখতে পারে।
জেনারেশন গ্যাপ। খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা। দর্শক পুরোনো হয়। কথার কথা বলছি, পুরোনো দর্শক তো পরী, মাহী বা জায়েদদের ছবি দেখতে হলে যায় না। কিন্তু তারা যদি দেখে এদের সাথে পোস্টারে ফারুক ভাই, পারভেজ ভাই, সুচরিতা আপারা আছে তাহলে ছবি দেখার আগ্রহ বেড়ে যাবে। বয়স্ক দর্শকরা হলে যাবে। ভাববে আমাদের সময়ের শিল্পীরাও তো আছে। আর নিঃসন্দেহে বলা যায় বিগ কাস্টিং এর গল্প ভাল হতে বাধ্য।
অস্কার পাওয়া ছবি দেখতে দেখতে মাল্টিকাস্ট ছবির কথা মনে হলো। মুম্বাইতে যখন অমিতাভের ছবি একের পর এক ফ্লপ করা শুরু করেছিল, তখন প্রযোজক-পরিচালক ভেবে চিন্তে মাল্টিকাস্ট ছবি শুরু করেছিল। আবার ছবি হিট হওয়া শুরু করে।
আমরাও ওদের নকল শুরু করেছিলাম। আমাদের ‘ সুমন রাজন মোহন – বন্ধু আমরা তিনজন’ একটা হিট ছবির হিট গান। ওটাও মুম্বাইের মাল্টিকাস্ট ছবির নকল। এখন নকলটা বাদ দিয়ে মাল্টিকাস্ট খুব দরকার।’