মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মো. রাশেদ হত্যার ‘মাস্টারমাইন্ড’ টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ‘অন্যতম সহযোগী’ কনস্টেবল রুবেল শর্মার আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৪ (টেকনাফ) এর বিচারক তামান্না ফারাহ রুবেল শর্মার আরো পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুবেল শর্মার দ্বিতীয় দফায় এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আট দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন।
সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ খায়রুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে সাত দিনের রিমান্ড নেয়া হয়েছিলো রুবেল শর্মাকে। রিমান্ডে তার কাছ থেকে সিনহা হত্যা মামলা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু আরো তথ্য পাওয়ার জন্য তাকে আরো রিমান্ড প্রয়োজন। তাই পুন:রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত দ্বিতীয় দফায় তার আরো পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
সিনহা হত্যা মামলা ১৪ আসামির মধ্যে সর্বশেষ আসামি হিসেবে সংযুক্ত হয় রুবেল শর্মা। গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার আইও র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর বিচারক তামান্না ফারাহ রুবেল শর্মার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। ২ অক্টোবর তাকে রিমান্ড হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় এপিবিএনের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহত মেজর (অব.) সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে একই আদালতে মামলাটি করেন। পরে আরও সাতজনকে আসামি হিসেবে সংযুক্ত করা হয়।