বৃহস্পতিবারের সকালটা এমন একটা খারাপ খবর নিয়ে আসবে তা দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেনি কেউ। ৪০ বছরের ফিট ছেলেটা এইভাবে ঘুমের মধ্যেই চিরঘুমের দেশে চলে যাবে তা কে জানত?
ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে সিদ্ধার্থ শুক্লার শেষকৃত্য। পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেছে প্রয়াত তারকার দেহ, তবুও যেন মন মানতে চাইছে না এই আকস্মিক মৃত্যু।
সিদ্ধার্থের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার আন্ধেরির ফ্ল্যাটে ছুটে গিয়েছিলেন টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা। পৌঁছেছিলেন বিগ বস খ্যাত রাহুল মহাজন। সিদ্ধার্থের মা, বান্ধবী শেহনাজ গিলকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাননি রাহুল। এক সাক্ষাৎকারে রাহুল জানান, সিদ্ধার্থের মা তাকে জানিয়েছে ঠিক কী ঘটেছিল বৃহস্পতিবার ভোররাতে।
এবিপি নিউজকে রাহুল জানান, ‘তার মা খুব আধ্যাত্মিক মানুষ। উনি আমাকে যা বলেছেন, হতে পারে এটা পুলিশকে দেওয়া আনুষ্ঠানিক বয়ানের সঙ্গে পুরোপুরি মিল খাবে না… উনি জানান রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা নাগাদ সিদ্ধার্থ বাড়ি ফেরে, বাইরে থেকে খেয়েই ফিরেছিল। সাধারণত ও বাড়িতেই খায়। এরপর ও ঘুমোতে চলে যায়, এরপর ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে ঘুম থেকে উঠে ওর শরীরে অস্বস্তি হচ্ছিল… এরপর ও এক গ্লাস জল খায়….এরপর আর ঘুম থেকে উঠেনি’।
রাহুল যোগ করেন, ‘ওর মা সকাল সাতটা নাগাদ সিদ্ধার্থকে বিছানায় ঘুমিয়ে থাকতে দেখেন। কিছুক্ষণ পর উনার মনে হয় সিদ্ধার্থ একটু অদ্ভূতভাবে ঘুমিয়ে রয়েছে। এরপর ডাকাডাকি করলেও ঘুম ভাঙেনি, উনি ডাক্তার ডাকেন। তিনি এসে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে সিদ্ধার্থকে হাসপাতালে নিয়ে যান…’।
এরপরের ঘটনা কারো অজানা নয়, কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছিল সিদ্ধার্থের।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে সিদ্ধার্থের শরীরের বাইরে বা ভিতরে কোনওরকম আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে অভিনেতার মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করেননি চিকিৎসকরা। সিদ্ধার্থের ভিসেরা রিপোর্ট সামনে এলে তবেই সিদ্ধার্থের মৃত্যুর কারণ জানাবে পুলিশ।