সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে তার সমাধান চায় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সনাতন ধর্মবলম্বীদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন হলে আওয়ামী লীগের কোন সমস্যা নেই।
গত ১২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে, আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর মুলতবী সভাটি একই স্থানে অনুষ্ঠিত হলো আজ। চলমান বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয় সভায়।
সভা শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন সরস্বতী পূজার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সম্মানজনক, গ্রহণযোগ্য, যুক্তিগ্রাহ্য, বাস্তবসম্মত একটা সমাধান খুঁজে নেবে।
পূজা এবং নির্বাচন একই দিনে হওয়া প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন সরকারের প্রতি যে দায় চাপাচ্ছে সে প্রশ্নেরও উত্তর দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে তারা নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করবেন সেটা সম্পূর্ণভাবে তাদের বিষয়। তারা সেটা করতে পারেন। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ কিংবা আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো আপত্তি নেই।
ইভিএম নিয়ে বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন সর্বশেষ বগুড়ার দুপচাচিয়া পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে হওয়া নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করেছে। সেই নির্বাচনের ফলাফল কি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রত্যাখান করবেন? এই প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।
৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু পঞ্জিকা অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি সকাল ৯টা ১৫ থেকে ৩০ জানুয়ারি সকাল ১১টা পর্যন্ত সরস্বতী পূজার আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে। আর ৩০ জানুয়ারি পঞ্চমীর আগে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া যায় না।
এই পূজাটি দেশের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হয়ে থাকে। আর ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন হলে এর কয়েক দিন আগে থেকেই ভোটের কার্যক্রম শুরু হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যাতে পূজা পালনে বিঘ্ন ঘটবে বা পূজার আচার-আনুষ্ঠানিকতা বাধাগ্রস্ত হবে। তাই নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবি শিক্ষার্থীদের।