সিজোফ্রেনিয়া কোনো মানসিক রোগ নয় জানিয়ে রায় দিয়ে পাকিস্তানের সুপ্রীম কোর্টের বলেছে, প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়ার কারণ দেখিয়ে কোনো অপরাধী পার পেতে পারবে না।
২০০২ সালে এক খ্রিষ্টীয় যাজককে খুন করে পাকিস্তানের ইমদাদ আলী। খুন করার পর তাকে ক্লিনিকালি উন্মাদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই দাবির ভিত্তিতেই আলির স্ত্রী সাফিয়া বানো তার স্বামীর সাজার বিরুদ্ধে আপীল করেন।
গত শুক্রবার কোর্ট তাদের আবেদন বাতিল করে দেয়। এবং জানায়, সিজোফ্রেনিয়া কোনো স্থায়ী মানসিক সমস্যা নয়।
কোর্টের রায়ের কপিতে আরো লেখা হয়, এই রোগের পূর্বাভাস ওষুধ এবং মানসিক ও সামাজিক পরিস্থিতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাময়যোগ্য। তাই এটা কোনোভাবেই মানসিক রোগের কাতারে পড়ে না।
তবে আলীর আইনজীবী বলছেন, আলী অপরাধ বা সাজা কোনোটাই বোঝে না। সে ভ্রমের মধ্যে থাকে সবসময়, মাথার ভেতর থেকে আওয়াজ শোনে এবং নির্যাতন জটিলতায় ভোগে।
অবশ্য ইমদাদ আলীকে সাজা দিলে তা আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকান সাইকোলজিকাল অ্যাসোসিয়েশনের মতে, অযৌক্তিক চিন্তাভাবনা, অস্বাভাবিক আচরণ এবং কথাবার্তা, ভ্রমের মধ্যে থাকা এবং কোনো আওয়াজ শোনাটাও মানসিক রোগই।
সুপ্রীম কোর্টের এই রায়ে মধ্যে দিয়ে বোঝা যায় সপ্তাহখানেকের মধ্যেই খুব দ্রুত আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। এর মধ্যে দিয়ে আলোচিত এ মৃত্যুদণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বিধার অবসান ঘটবে।