সিজার করার আগে গর্ভবতী মায়েদেরকে সিজারের ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত করে বন্ড সই নেওয়ার বাধ্যবাধ্যকতা জারি করেছে ব্রাজিল। কারণ ডাক্তাররা মাঝে মধ্যে অহেতুক সিজার করার প্ররোচণা দেয় বলে গর্ভবতী নারীদের অভিযোগ আছে।
এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে দেশটির বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৫ শতাংশ গর্ভবতী মহিলাই সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন। সরকারি হাসপাতালে এই হার ৪৫ শতাংশ।
আইনটি করা হয়েছে মূলতঃ অহেতুক সিজার ঠেকাতে এবং গর্ভবতী নারীদেরকে স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করতে উৎসাহিত করতে। নতুন এই আইনে সিজার করার আগে গর্ভবতী মায়েদেরকে সিজারের ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত করে বন্ড সই নিতে হবে।
এখন থেকে গর্ভবতী মায়েদের সর্বশেষ তথ্য নিয়ে ডাক্তারদেরকে রেকর্ড অনুসরণ করতে হবে ব্রাজিলে। গর্ভবতী নারীদেরকে মেডিকেল চেকআপের সব তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। যদি হাসপাতাল পরিবর্তন করে তবে তা পরবর্তী ডাক্তারকে জানাতে হবে।
ব্রাজিলে কেনো সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় সবাই সিজারের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় তার কারণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসছে নানা তথ্য। বিশেজ্ঞদের মতে, হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বেডের অভাবে একজন মাকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে হয়। আবার অনেকে ভাবে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মদান থেকে সিজার করলেই উটকো ঝামেলা হয় না।
অনেক মহিলা আবার এই ধারণা পোষণ করে যে তাদের গ্ল্যামার ধরে রাখতে হলে স্বাভাবিক জন্মদানের চেয়ে সিজার করলে ফিগার আগের মত থাকবে। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তান জন্মদানকে আদিম এবং অসভ্য ভাবার লোকেরও অভাব নেই ব্রাজিলে।
ব্রাজিলের মেয়েরা এটাও ভাবে যে, স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মদান একটি কুৎসিৎ এবং অসুবিধাজনক বিষয়। আর এই মানসিকতা থেকেই সব ব্রাজিলিয়ানকে বের করে আনার জন্য চেষ্টা করছে ব্রাজিল সরকার।