ঢাকায় ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন ‘ওআইসি কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টার্স (সিএফএম)’ শুরু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দু’দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিনের শুরুতে আগামী এক বছরের জন্য ওআইসি’র কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টারস এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।
সম্মেলনের একটি বিশেষ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হবে।
এবারের ওআইসি সম্মেলনের প্রতিপাদ্য- ‘স্থায়ী শান্তি, সংহতি ও উন্নয়নের জন্য ইসলামি মূল্যবোধ।’
এ বছরের আয়োজনে ওআইসি’র সব সদস্য রাষ্ট্র ও পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র, ওআইসিভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রের প্রধানসহ ৫৫০ জন প্রতিনিধি অংশ নেবে। তাদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের ৪০ জন মন্ত্রী ও সহকারি মন্ত্রী অংশগ্রহণ করছেন এ সম্মেলনে।
এবারের সম্মেলনে প্যালেস্টাইনের জনগণের ‘ন্যায়সঙ্গত’ অধিকারের বিষয়টি বরাবরের মতোই গুরুত্ব পাবে। এছাড়া বর্তমানে মুসলিম বিশ্বের বেশ কিছু দেশ শান্তি,নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় হুমকি, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, বাইরের হস্তক্ষেপ, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, ইসলামোফোবিয়া (ইসলামঅভীতি) এবং মানবিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। এই পরিস্থিতিতে এই সম্মেলন তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করে বাংলাদেশ।
সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মুসলিম দেশগুলোকে সক্রিয়ভাবে পাশে থাকার আহ্বান জানানো ছাড়াও বাংলাদেশের অন্যান্য প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে: সম্মেলনে আলোচ্য বিষয়ের সব সিদ্ধান্ত, ঢাকা ঘোষণাপত্র আউটকাম ডকুমেন্ট হিসেবে সংরক্ষিত হবে। মুসলিম দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে কানেক্টিভিটি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে মিডিয়ার ব্যবহার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ওআইসি চেয়ার প্রতিষ্ঠাসহ কয়েকটি প্রস্তাব করবে বাংলাদেশ।
জনসংখ্যার ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসি’র দ্বিতীয় শীর্ষ সম্মেলনে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ওআইসি’র সদস্য হয়। এই সংস্থাভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৪ তম সম্মেলনটি আইভোরি কোস্টে অনুষ্ঠিত হয়।