চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সিএনএন’র প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ইয়াবা-চিত্র

বাংলাদেশে ঢোকার পর ২০০৬ সালের দিকে শহরের উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের হাতে মরণনেশা ইয়াবা প্রথম পৌঁছাতে শুরু করে। আর এখন সেটা বাংলাদেশের সবখানে।

বাংলাদেশের ইয়াবা-চিত্র নিয়ে এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন।

বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রকাশিত তথ্যের বরাতে প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়, প্রতিনিয়ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সীমান্ত থেকে আরও বেশি মাদক পাচারকারীকে ইয়াবাসহ ধরছে। গত বছর দেশে মোট জব্দ ইয়াবার সংখ্যা প্রায় তিন লাখ পিস, যা ২০১০ সালে জব্দ ইয়াবার সংখ্যার ৩৫ গুণ!

এটি মূলত মেথামফেটামিন এবং ক্যাফেইনের সংমিশ্রণে তৈরি রঙিন ট্যাবলেট। আর ইয়াবার মূল উৎপাদনকারী মনে করা হয় মিয়ানমারকে।

জাতিসংঘের মাদক এবং মাদক সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিষয়ক সংস্থা ইউএনওডিসি প্রকাশিত ২০১৫ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার থেকেই এই নেশাদ্রব্য মেকং নদী উপকূল অঞ্চল এবং পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য বেশকিছু অঞ্চলে পাচার হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৩ সালে চীনে ধরা পড়া মোট ইয়াবার ৯০ শতাংশই মিয়ানমার থেকে সরবরাহকৃত।

কক্সবাজারে এনজিও নোঙ্গর পরিচালিত একটি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের প্রধান দিদারুল আলম রাশেদ নিজ চোখে দিনের

ইয়াবা-সিএনএন
নানা রঙের ইয়াবা

পর দিন দেখেছেন ইয়াবা আসক্তের সংখ্যা বাড়তে।

সিএনএন’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘২০০২ সালে আমরা একটি অনানুষ্ঠানিক জরিপ চালিয়ে দেখতে পাই, এই জেলায় ২০ হাজার মানুষ মাদকাসক্ত হলেও তারা কেউই ইয়াবা ব্যবহার করছে না।’ তখনকার সময় মাদক বলতে গাঁজা আর হেরোইনই প্রচলিত ছিল।

‘‘কিন্তু ২০০৭ সালে এই মাদক জোয়ারের মতো ছড়িয়ে পড়ে। আর এরপরই দেখা যায় দেশের সবখানে পৌঁছে গেছে এটি।’’

দিদারুল আলম বলেন. ‘২০১৬ সালে আবারও জরিপ চালিয়ে আমরা দেখি, জেলায় ৮০ হাজার মানুষ মাদকাসক্ত এবং তাদের ৮০ শতাংশই ইয়াবা নিচ্ছে।’

প্রতিবেদনটিতে ইয়াবার ভয়াবহ কুফলের কিছু উদাহরণও তুলে ধরা হয়েছে। আলোচনায় এসেছে ইয়াবায় আসক্ত ঐশী রহমানের নিজের বাবা-মাকে মেরে ফেলার ঘটনাও।