প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনে ইসির বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
মঙ্গলবার দুপুরে বৈঠক শুরু হওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পর ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনসহ অন্য নেতারা সেখান থেকে উঠে চলে চলে যান।
যাওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সিইসি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে।
তিনি বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে তারা। ইসি সরকারের পক্ষ হয়ে গেছে। সিইসির আচরণে ভদ্রতা ছিল না। এজন্য আমরা সভা বয়কট করেছি। তবে আমরা নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন যৌথভাবে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। কারণ নির্বাচনের নূন্যতম পরিবেশ তারা সৃষ্টি করতে পারেনি।
‘‘মির্জা আব্বাস, মঈন খান, আফরোজা আব্বাস, মওদুদ আহমেদ, সালাউদ্দিন আহমেদসহ তাদের নেতা কর্মীদের উপর পুলিশের হামলার কথা বললে সিইসি ক্ষেপে যান। তিনি আমাদের কোনো কথাই শোনেননি। আমরা সারাদেশে পুলিশের হাতে ধরপাকড়, হয়রানির বিষয়ে কথা বলতে চেয়েছি, তিনি তা শোনেননি। তিনি পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করেছেন।’’
তবে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিংয়ে ঐক্যফ্রন্টের আরেক নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, বৈঠককালে নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ড. কামাল হোসেন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।
তিনি জানান, ড. কামাল হোসেন ‘পুলিশ লাঠিয়াল বাহিনীর মতো আচরণ করছে’ এমন মন্তব্য করলে তার প্রতিবাদ করেন সিইসি।
সিইসি ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশে বলেন, সরকারের একটি বাহিনীকে নিয়ে তিনি এমন কথা বলতে পারেন না। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই পরে সকলে বৈঠক থেকে বের হয়ে আসেন।