নাটোরের সিংড়ায় নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ির সাথে মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আরোহী সাংবাদিক সোহেল রানা নিহত হয়েছেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের নিংগইন তেল পাম্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল রানা কালের কণ্ঠ শুভ সংঘের সিংড়া ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক দুরন্ত পত্রিকার সিংড়া প্রতিনিধি ও আগপাড়া শেরকোল বন্দর উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি সিংড়া পৌর এলাকার বালুয়া বাসুয়া মহল্লার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।
জানা যায়, নাটোরের সিংড়া গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মানসী দত্ত মৌমিতা নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকারের সহধর্মিণী। সোমবার সকালে ইউএনও’র স্ত্রীকে কর্মস্থলে পৌঁছে দিতে সিংড়া আসছিলেন মানসী দত্ত। কিন্তু সিংড়া পৌঁছার আগে নিংগইন তেল পাম্প এলাকায় ইউএনও’র সরকারি গাড়ির সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষে পিষ্ট হয় মোটরসাইকেল আরোহী সাংবাদিক সোহেল রানা। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাজশাহী নিয়ে গেলে দুপুর ১টার দিকে মারা যান। পরে ঘটনাস্থলে আসেন নলডাঙ্গার ইউএনও সুখময় সরকার।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী আফজাল হোসেন, মো. সুলায়মান ও মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ইউএনও’র গাড়ি দ্রুত গতিতে সিংড়ার দিকে আসছিলেন। নিংগইন পৌঁছলে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে ইউএনওর গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয় সাংবাদিক সোহেল রানা। পরে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে কলেজে যান ইউএনও’র সহধর্মিণী মানসী দত্ত মৌমিতা। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে গাড়ি দুটি উদ্ধার করে।
নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকার স্ত্রীকে কর্মস্থলে পৌঁছে দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, নলডাঙ্গা ছোট উপজেলা, সেখানে পেট্রোল সঙ্কটের কারণে সিংড়ায় পেট্রোল নিতে পাঠিয়েছি।
এসময় ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাংবাদিক সোহেল রানাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরান।
ইউএনও এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, আমরা নিহতের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম। তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পরিবারকে সহযোগিতা করার কথা জানান তিনি।