আবারও সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতির দিকে এগুচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি। গত সাড়ে ৬ মাসের মধ্যে আবারও একদিনে সর্বোচ্চ প্রায় দেড় লাখ মানুষের শরীরে ভাইরাসটির অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে।
অথচ গত জুনেই দেশটিতে দৈনিক শনাক্তের গড় ১১ হাজার। কিন্তু আগস্টের শুরু থেকেই তা বেড়ে গড়ে ১ লাখের বেশি হয়। আর মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে তা দেড় লাখ ছুঁইছুঁই করছে।
বিশ্বের কোভিড রোগী ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান রাখা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি দেশটিতে একদিনে শনাক্ত রোগী ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৪ জন। প্রায় সাড়ে ৬ মাস পর এসে গত ২৪ ঘণ্টায় আবারও দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৫৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬১৪ জনের।
পরিসংখ্যান বলছে, করোনা মহামারি শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক ১ লাখ আক্রান্ত শনাক্ত হতে সময় লেগেছিল প্রায় ৯ মাস। গত বছর নভেম্বরে প্রথম দৈনিক শনাক্ত ১ লাখ ছাড়িয়ে যায়। পরে জানুয়ারির মাসের শুরুতে সেই সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছে দৈনিক শনাক্ত সংখ্যা আড়াই লাখ অতিক্রম করে।
দেশটিতে গত সাত দিনে গড়ে ১ লাখের ওপরে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৯ আগস্ট মৃত্যু কিছুটা কমে ২৬৩ হয়। কিন্তু দুইদিনের ব্যবধানে তা বেড়ে হয়েছে ৬ শতাধিক।
মূলত আগস্টের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। ১ আগস্ট আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮০ হাজার ৫৩৭ জন। ১ সপ্তাহের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৩৬ হাজারেরও বেশি। এরপর থেকে আর দৈনিক সংক্রমণ ১ লাখের নিচে নামেনি।
এই দফায় সংক্রমণ টিকা না নেওয়া মানুষের মধ্যে দ্রুত ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোতে। সেখানকার হাসপাতালগুলোতে বেড সংকট দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, মার্কিন নাগরিকরা যদি টিকা না নেন, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
দেশটির সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-এর পরিচালক রচেল ওয়ালেনস্কি বলেন, আমাদের মডেল অনুসারে যদি মানুষ টিকা না নেন; তাহলে প্রতিদিনই লক্ষাধিক আক্রান্ত শনাক্ত হতে পারে। যেমনটি জানুয়ারির শুরুতে হয়েছিল।