চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে প্রশাসনকে ঢেলে সাজান বঙ্গবন্ধু

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ৯-প্রশাসনিক সংস্কার

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মাত্র সাড়ে ৩ বছর পেয়েছিলো বাংলাদেশ। এই কম সময়ের শাসনামলেই প্রায় শূন্য অর্থনীতির দেশকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে যান বঙ্গবন্ধু।

শুধু শহরকে প্রাধান্য না দিয়ে গ্রামীণ উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেন বঙ্গবন্ধু। জাতির পিতার বিশ্বাস ছিলো একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কখনই গ্রামকে অবহেলা করে সম্ভব নয়। দেশের প্রতিটি এলাকার মানুষ যাতে সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে সেজন্য বঙ্গবন্ধু প্রশাসনিক স্তরে বড় ধরণের পরিবর্তন আনেন। উচ্চ থেকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত ঢেলে সাজান তিনি। মহকুমাকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে ৬১টি জেলা সৃষ্টি করে তার সরকার।

প্রশাসনিক কাঠামো নতুনভাবে গড়ে তোলার পাশাপাশি অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলে সেসময়। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ৫০০ চিকিৎসককে গ্রামে নিয়োগ দেন বঙ্গবন্ধু। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রকল্প ছিলো তার সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। বিনামূল্যে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি। মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করেন জাতির পিতা।

সব দিকেই তার ছিলো বিশেষ মনোযোগ। ৭২ সালে মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশের নেতৃত্বে ৬ হাজারেরও বেশি মুসলিমকে হজে পাঠায় বঙ্গবন্ধু সরকার।

শিল্প-সংস্কৃতির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ৭৪ সালের ১৯শে ফ্রেব্রুয়ারি তিনি শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম অসুস্থ হলে তাকে দেখতে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে গেছেন নজরুল ভক্ত মুজিব।

সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পরিবারের প্রতিও দায়িত্ববান ছিলেন বঙ্গবন্ধু। শেখ জামালের বিয়ের অনুষ্ঠানে জাতির পিতার অতিথিপরায়ণতা দেখেছেন তার সহকর্মীরা।

বিস্তারিত দেখুন কাজী ইমদাদের ভিডিও রিপোর্টে