রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ আত্মগোপনে রয়েছেন জানিয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিক বিল্লাহ বলেছেন, তাকে ধরতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি জানিয়েছেন, সাহেদ দেশেই আছেন। বিদেশে পালিয়ে যেতে পারবেন না। আমরা অনুসন্ধান করছি। তার স্বজন ও পরিচিতজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। এছাড়াও গ্রেপ্তার হওয়া তার সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আশা করছি অচিরেই তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সাহেদকে গ্রেপ্তার করতে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সাহেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে র্যাবের একাধিক টিমও কাজ করছে। আশা করি খুব দ্রুতই তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।’
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের পাসপোর্ট জব্দ করেছে তদন্তকারী দল। রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যানের কক্ষ থেকে একটি কম্পিউটার, মোহাম্মদ সাহেদের পাসপোর্ট ও প্রধান কার্যালয় থেকে বেশ কয়েকটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক উদ্ধার করা হয়। তল্লাশির সময় তাদের আরও ২০টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে সাহেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে ইমিগ্রেশন বিভাগকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, সাহেদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিনি যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হচ্ছে।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে সেখান থেকে আটজনকে আটক করে র্যাব।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে সোমবার রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা থেকে আটক আটজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ৯ জনকে পলাতক আসামি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।