রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে গ্রেপ্তার করতে রাজধানী ঢাকা ও মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের শমসেরনগরসহ কয়েকটি এলাকা অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কমলগঞ্জের পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সাহেদকে ধরতে শমসেরনগর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। সাহেদের ফোন ট্র্যাক করে তার অবস্থান নির্ধারণের চেষ্টা চলছে।
সাহেদের অবস্থান অনুমান করে জেলাজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে র্যাব ও পুলিশ। জেলার সব সীমান্ত, রিসোর্ট, হোটেল মোটেলেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি সুজয় সরকার বলেন, সাহেদকে ধরতে এলিট ফোর্স র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তিনি জানান, রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদকে ধরতে রাজধানীতে গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানোসহ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সাহেদের সবশেষ অবস্থান কমলগঞ্জের শমসেরনগর বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার চাতলাপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত যাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারণা।
গতকাল সন্ধ্যা থেকে শমশেরনগর চৌমুহনা থেকে ভারতের ত্রিপুরাগামী সড়কের মুখে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা যানবাহন তল্লাশি শুরু করেন। সেই সঙ্গে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন রেস্ট হাউজে অভিযান চালাচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বিষয়ে জানতে মৌলভীবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, সাহেদকে গ্রেপ্তারের জন্য মূলত র্যাব এ অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ তাদের সহায়তা করছে। তবে, সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয় যে সাহেদ এখন মৌলভীবাজারেই আছে। আমরা তাকে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।
উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা জানান, প্রতারণা ও টাকা আত্মসাৎ মামলার প্রধান আসামী রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে ধরতে গত ৯ দিন ধরে অভিযান চলছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার ৭জন আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ৬ জুলাই র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। পরীক্ষা ছাড়াই করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে অভিযোগে এ অভিযান চালানো হয়।
ঘটনার পরদিন গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। এঘটনার পর থেকে গত ৯ দিন ধরে সাহেদ পলাতক রয়েছে।