কোন জমকালো মঞ্চে নয় বরং একেবারে সাদামাটা আর ঘরোয়া আসরেই নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করলেন মার্কিন সংগীতশিল্পী ও গীতিকবি বব ডিলান। ববের অনুরোধে আজ রোববার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল না কোন সংবাদমাধ্যম। এক অনাড়ম্বর পরিবেশেই নোবেল মেডেল তার গলায় পড়িয়ে দেয় সুইডিশ একাডেমি।
একাডেমির এক মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা এপিকে জানিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক মতোই সম্পন্ন হয়েছে। সেই সাথে ৭৫ পেরোনো ববকে একজন অসাধারণ মানুষ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এ মুখপাত্র।
গত বছর অক্টোবরে সাহিত্যে নোবেল জয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয় বব ডিলানের নাম। সে অনুয়ায়ী ডিসেম্বরে স্টকহোমের অনুষ্ঠানে তার পুরস্কার গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ দিন নিরব থাকার পর মাত্র ক’দিন আগে নোবেল পুরষ্কার গ্রহণে রাজি হন তিনি।
এর আগে সুইডিশ একাডেমির বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, এই সপ্তাহের মধ্যেই নোবেল নেওয়ার জন্য সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম যাচ্ছেন বব ডিলান। আজ সুইডিশ মিডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সে যাত্রা এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। নোবেল গ্রহণ করে ফেলেছেন তিনি। তবে এর বেশি বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি নোবেল কমিটি।
মেডেল গ্রহণের পর স্টকহোমের একটি কনসার্টে গান করেছেন বব। রোববার সন্ধ্যায় আরেকটি কনসার্টেও তার অংশ নেওয়ার কথা আছে।
ঐতিহ্য অনুয়ায়ী ববের এবার নোবেল ভাষণ দেওয়ার কথা। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি রেকর্ড করে সে ভাষণ পাঠিয়ে দেবেন। কিন্তু জুনের মধ্যে না দিলে নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ৯ লাখ ডলার হাত ছাড়া হয়ে যাবে তার।
গত পাঁচ দশকেরও অধিক সময় ধরে বিশ্ব সংগীতের অন্যতম প্রধান পুরুষ মনে করা হয় বব ডিলানকে। তার লেখা গান পেয়েছে কবিতার মর্যাদা। তার সঙ্গীতজীবনের শুরুটা ১৯৫৯ সালে। সে সময় মিনেসোটার একটি কফি হাউজে গান করতেন তিনি। হাতে গিটার আর গলায় হারমোনিকা ঝুলিয়ে গান গেয়ে বেড়ানো বব ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন যুদ্ধবিরোধী চেতনার প্রতীক। তার গাওয়া ‘দ্য টাইমস দে আর এ চেঞ্জিং’, ‘ব্রিংগিং ইট অল ব্যাক হোম’ বা ‘ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড’ গানগুলো মানুষের মননে হানাহানি আর যুদ্ধবিরোধী চেতনার বীজ বুনে দেয়। বিবিসি।