ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেপাল থেকে ফেরত আসা আহত শেহরিন আহমেদকে দেখতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন: শেহরিনের মনে অনেক সাহস ছিলো, তাই দুর্ঘটনার পর বিধ্বস্ত বিমান থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছেন। তার শরীরের ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তবে, তিনি ভালো আছেন।
শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট থেকে বের হয়ে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন: আরো যাঁরা আহত আছেন, তাঁদেরও দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং হচ্ছে। নেপালে নিহত বাংলাদেশিদের মরদেহ দেশে আনার কাজ ধীরে চলছিল। এখন আমাদের চিকিৎসকরা যাওয়ার পর সেই কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সবকিছু দ্রুত করা হচ্ছে।
সকালে প্রথমে ঢামেকে যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পরে দুপুরে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
শেহরিনের চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়ার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, গত ১২ তারিখের নেপালের বিমান দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ ও নেপালের অনেক সন্তানকে হারিয়েছি। অনেক তরুণ-তরুণী, যারা ফাইনাল পরীক্ষা শেষে মা-বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য যাচ্ছিল, তাদেরও হারিয়েছি।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেহরিন সুস্থ হয়ে যাবেন। আমরা কোনোমতেই চাই না, এ রকম দুর্ঘটনায় আর কেউ প্রাণ হারাক।’ চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোনোমতে চিকিৎসার যেন কোনো ঘাটতি না হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে শেহরিন আহমেদকে নেপাল থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।