ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিচার চলবে কি না- তা নির্ধারিত হবে আগামী ২২ জুলাই। মেঘালয়ের বিচারিক হাকিম কেএমএল নংব্রি বুধবার এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
যদি সালাহ উদ্দিন আহমেদ অনুপ্রবেশের অভিযোগ স্বীকার করেন; তাহলে বিচারক ওইদিনই রায় দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন পাবলিক প্রসিকিউটর আইসি ঝা।
ভারতের পাসপোর্ট আইনে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে সাত জনকে।
আইসি ঝা বলেন, এ মামলা লড়তে চাইলে কয়েকদিনের মধ্যেই বিচারকাজ শেষ হতে পারে। এ ধরনের ক্ষেত্রে আদালত সাধারণত দুই-তিনটি শুনানির পরই রায় দিয়ে থাকনে।
ঢাকা থেকে উধাও হওয়ার দুই মাস পর গত ১১ মে শিলংয়ে হদিস মেলে সালাহ উদ্দিনের। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে ঢোকার অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
গত ৩ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেয় মেঘালয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে ভারতে এই বিএনপি নেতার আকস্মিক উপস্থিতি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি অভিযোগের বিচার এড়াতে তা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
বর্তমানে আদালত থেকে জামিন নিয়ে স্ত্রী ও কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে শিলং শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকছেন সালাহ উদ্দিন। তার শিলং ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
সালাহ উদ্দিনের ঘনিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এ মুহূর্তে দেশে ফিরে গ্রেফতার হওয়ার চেয়ে ভারতেই দীর্ঘ সময় অবস্থান করতে আগ্রহী বিএনপির এই নেতা। তাকে তার পরিবার চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নিতে চায়। এজন্য আদালতের অনুমতি চাইলেও তা নাকচ করা হয়।