সালাহউদ্দিন আহমেদ সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারকে এখনও ভারত সরকার কিছু জানায়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, সালাহউদ্দিনকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারত যদি তাকে এখনই ফেরত দেয়, তাহলে ফেরত আনা হবে। আর যদি অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা চালায় তাহলে পরে ফেরত আনা হবে। সরকার ভারতের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে।
ভারত সরকার জানানোর পরই সালাহ উদ্দিনকে দেশে ফিরিয়ে আনা বা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে সরকার বলে জানান তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদকে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেছিল কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাকে আইন-শৃঙ্খলা বহিনী গ্রেফতার করেনি। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা ছিল, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে খুঁজছিল গ্রেফতার করার জন্য।
দীর্ঘ দু’মাস নিখোঁজ থাকার পরে ভারতের মেঘালয়ে খোঁজ মেলে সালাহ উদ্দিন আহমেদের। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ বর্তমানে সেখানে আছেন।
অজানা এবং অবৈধ ভারতে প্রবেশের অপরাধে ভারতীয় আইনে সালাহ উদ্দিনের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বিচারে দোষ প্রমাণিত হলে কারাদণ্ডসহ জরিমানা হতে পারে।
সালাহ উদ্দিনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে মেঘালয়ের শিলংয়ে আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিনকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি করেছে তার দল বিএনপি।
মানব পাচার বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার
বিশ্বজুড়ে আলোচিত মানব পাচার বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, মানবপাচারে জড়িত গডফাদারদের ছাড় দেওয়া হবে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, মানব পাচার রোধে মায়ানমারের অরক্ষিত আড়াইশ কিলোমিটার সীমান্তে বিজিবি মোতায়েনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারের মায়ানমার সীমান্তকে আরো সুরক্ষিত করতে সরকারিভাবে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।