দুটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টুয়েন্টি খেলতে আগামী ২৩ অক্টোবর পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। আইসিসির এফটিপি (ফিউচার ট্যুর প্ল্যান) অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারিতে পুরুষ দলেরও দেশটি সফরের কথা রয়েছে। আসন্ন দুটি সিরিজের ভাগ্যই অবশ্য ঝুলে আছে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদনের উপর।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকারের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল মেয়েদের সিরিজের আগেই পাকিস্তান সফর করবে, ‘আমরা চেষ্টা করছি যে, মেয়েদের যাওয়ার আগেই নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ যাতে হয়। তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হয় এবং পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আমরা হাতে পাই।’
নিজাম উদ্দিন রোববার বিসিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দলগুলোর বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নিরাপত্তা ছাড়পত্র। আমরা বিষয়টা নিয়ে কাজ করছি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর হাইকমিশনের সাথে। তাদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
‘আমরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা একটা প্রতিবেদন দিয়েছে। সেটি আমরা সরকারকে পাঠিয়েছি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় এটার উপর কাজ করছে। আমরা আশা করছি যে, খুব শিগগিরই একটা পর্যবেক্ষক টিম হয়ত পাকিস্তান সফরে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি, যেহেতু শ্রীলঙ্কা এখন পাকিস্তান সফর করছে। ওই সময় যদি তারা অনগ্রাউন্ড সিকিউরিটি অ্যারেঞ্জমেন্টগুলো দেখতে পারে, তাহলে তাদের জন্য আরও সহজ হবে মূল্যায়নে।’
গত বিশ্বকাপের আগে শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু কলম্বোর গির্জায় বোমা হামলায় বহু হতাহতের ঘটনার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে ক্রিকেট দলকে তখন সেখানে পাঠানো হয়নি। পরিস্থিতি উন্নতি হলে বিশ্বকাপের পর সেই সিরিজটি খেলে এসেছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তান যাচ্ছেন না মেয়েদের ভারতীয় কোচরা
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের এমনিতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ কম। র্যাঙ্কিংয়ে তলানির দল হওয়ায় ম্যাচের আশায় বসে থাকতে হয় দিনের পর দিন। যে কারণে ঝুঁকি থাকার পরও পাকিস্তান সফরে যেতে উদগ্রীব টিম টাইগ্রেস। তবে আসন্ন সিরিজে সালমা-রুমানারা সঙ্গে পাচ্ছেন না দলের ভারতীয় কোচিং স্টাফদের কাউকেই।
নিরাপত্তা ও ভারত-পাকিস্তানের দুই দেশের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেই সেখানে যাচ্ছেন না মেয়েদের ভারতীয় হেড কোচ অঞ্জু জৈন, সহকারী কোচ দেবিকা পালশিকর ও ট্রেনার কবিতা পান্ডে।
বিকল্প হিসেবে প্রধান কোচ হয়ে যাচ্ছেন দীপু রায় চৌধুরী। সহকারী কোচের দায়িত্ব সামলাবেন এমদাদুল হক ইন্দু। এছাড়া ট্রেনার হিসেবে থাকছেন জাতীয় দলের আরেক সাবেক ক্রিকেটার আনোয়ার হোসেন মনির। আর ম্যানেজার হিসেবে থাকবেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিম।