প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনসহ মোট ১৩টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৪০২ কোটি ৭৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এরমধ্যে সরকারি ও সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৯ হাজার ৬৭২ কোটি ৭৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১০ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্প সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক জেলায় আইটি পার্ক তৈরি করতে বলেছেন। যাতে তথ্য প্রযুক্তিতে মানুষ আরো বেশি জ্ঞানী হতে পারে। এছাড়া এলএনজি টার্মিনাল এখন থেকে সমুদ্রে তৈরি না করে ভূমিতে তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী আরো জানান, একনেক বৈঠকে নগর দারিদ্র সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন না দিয়ে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে শহরে বস্তির সংখ্যা বাড়ুক এটা প্রধানমন্ত্রী চাননা। তিনি বলেছেন, বস্তিবাসীদের জন্য সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করতে হবে। এ বিষয়টি প্রকল্পে সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশনা দেন তিনি।
মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় আধুনিক সুবিধা সম্বলিত মসজিদ বা ইসলামী স্থাপনা নেই। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার সৌদি আরবের সহায়তায় সারাদেশে আধুনিক মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এতে লাইব্রেরী, কোরআন পঠন, শিশুদের শিক্ষা সুবিধা, হজ্জ যাত্রী ও ইমামদের প্রশিক্ষণসহ নানাবিধ সুবিধা থাকবে।
তিনি জানান, ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৯ হাজার ৬২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সৌদি সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যাবে ৮ হাজার ১৬৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। বাকী ৮৯২ কোটি ৬২ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করবে।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হচ্ছে: জেলা পর্যায়ে আইটি/হাইটেক পার্ক স্থাপন, পটুয়াখালী গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন এবং গোপালগঞ্চ ৪০০ কেভি গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মাণ, মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ, কর্ণফুলি নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু হতে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্থতায় উন্নীতকরণ, থানচি-রিমাকরি-মদক-লিকরি সড়ক নির্মাণ, কক্সবাজার-টেকনাফ-মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প তৃতীয় পর্যায়, সিলেট শহর বাইপাস-গ্যারিসন লিংক টু শাহ পরাণ সেতুঘাট সড়ক ৪ লেন মহাসড়কে উন্নয়ন, খালিশপুর-মহেশপুর-দত্তনগর-জিন্নানগর-যাদবপুর মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন, সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন, ঢাকা শহরে ৩টি পাইকারি কাঁচা বাজার নির্মাণ, থ্রিজি প্রযুক্তিকরণ চালু এবং ২ দশমিক ৫ জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্প।