বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। কুড়িগ্রামে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নতুন করে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধায়।
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার এবং চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যায় ডুবে গেছে ৯ উপজেলার ৬৩ ইউনিয়নের সাড়ে ৫শ’ গ্রাম। খাদ্য ও নিরাপদ পানির সঙ্গে দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট। জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
যমুনার পানি বাড়ায় ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ এবং মাদারগঞ্জে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকায় নিরাপদ পানি ও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। নিম্নাঞ্চলের লোকজন বিভিন্ন বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
যমুনা নদীর পানি বাড়তে থাকায় সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বেড়েছে ইছামতি, বড়াল, দইভাঙা, হুরা সাগর ও করতোয়াসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও।
জেলার কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালীর ২৫টি ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ।
বগুড়া অংশে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। পানিবন্দী প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। বন্যাদুর্গত লোকজন বাড়ি-ঘর ছেড়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। চারদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আশা ঢলে নতুন করে পরিস্থিতির আবারো অবনতি হয়েছে গাইবান্ধায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে পেয়ে ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে ঘাঘট নদীর পানি। তিস্তানদীতে ১৩ সেন্টিমিটার এবং করতোয়ায় ৬ সেন্টিমিটার পানি
বেড়েছে
নদীগুলোতে আবারো নতুন করে পানি বাড়ায় জেলা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা, সুন্দরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ এবং সাদুল্লাপুরে বন্যাকবলিত মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পানিবন্দী ৪ উপজেলার ২১ ইউনিয়নের কমপক্ষে ৬৫ হাজার মানুষ