যতো দ্রুত সম্ভব পুরো দেশে ফোর-জি সেবা চালু করতে চায় দেশের তিন মোবাইল অপারেটর; গ্রামীণফোন, রবি এবং বাংলালিংক। প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার সুবিধা পাওয়ায় ভয়েস কল আর ইন্টারনেট ব্যবহার আরও গতিশীল ও যুগোপোযোগি হবে বলে মনে করেন তিন প্রতিষ্ঠানের তিন প্রধান নির্বাহী। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ফোর-জি বড় ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে তারা বলেন, ফোর-জি ইন্টারনেট ব্যবহারের ধারণাই পাল্টে দেবে।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে মোবাইল সেবা দাতা চার প্রতিষ্ঠানের তিনটিই দিচ্ছে ফোর-জি সেবা। অপারেটরদের দাবি, গোটা দেশে চালু না হলেও অন্তত বড় শহরগুলোয় ফোর-জি’র সেবা পেতে শুরু করেছেন গ্রাহকরা।
সারাদেশে এখনও পর্যন্ত থ্রি-জি সেবা পরিপূর্ণভাবে পাওয়া না যাওয়ায় ফোর-জি নিয়ে কারো কারো কিছুটা শঙ্কা আছে। তবে শঙ্কার কথা একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন তিন প্রধান নির্বাহী।
সরকারের প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেলিটক শুরু না করলেও বাকি তিন প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের বিধি অনুযায়ী দ্রুতই চালু করবে তাদের ফোর-জি সেবা, তেমন প্রতিশ্রুতিই দিয়েছে গ্রামীণফোন, রবি এবং বাংলালিংক।
প্রস্তুতি ছিলো আগে থেকেই। লাইসেন্স হাতে পাওয়ার ঠিক পরদিনই তাই চালু হয়ে গেছে ফোর জি সেবা। এক সময়ের ‘ঘুম পাড়ানি’ ইন্টারনেটের যুগ থেকে টু-জি হয়ে ২০১৩ সালে থ্রি-জি’র জগতে পা রেখেছিলো বাংলাদেশ। আর এবার চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সেবার যুগ।