ইউএসএআইডি বাংলাদেশ সরকারকে সারাদেশে কার্যকরভাবে ফাইজার টিকা পরিচালনা চালু করতে সহায়তা করছে।
ইউএসএআইডি’র ‘মামনি’ মাতৃ ও নবজাতক উন্নয়ন প্রকল্প: ইমার্জেন্সি রেসপন্স টু কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিকের মাধ্যমে ১১ টি জেলা এবং ১০টি সিটি কর্পোরেশনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে।
দেশের বিভিন্ন জাতীয় পর্যায়ের মাস্টার ট্রেইনার এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী, টিকা প্রদানকারী, নন-ক্লিনিকাল এবং প্রশাসনিক কর্মীদের জন্য আয়োজন করা হয় প্রশিক্ষণগুলো।
এ সকল প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা জানতে পারেন কিভাবে আলট্রা-কোল্ড চেইন এর মাধ্যমে ফাইজার টিকা সঠিকভাবে সংরক্ষণ, পরিবহন এবং প্রশাসন করা যায়, এবং প্রশিক্ষণ লাভ করেন টিকার স্টক পর্যবেক্ষণ, ডেটা এন্ট্রি ও রিপোর্টিং দক্ষতা এবং টিকাদানের পর প্রতিকূল ঘটনা পর্যবেক্ষণের উপর।
ইউএসএআইডি’র সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণগুলো বাংলাদেশের ১১টি জেলায় – ভোলা, ঝালকাঠি, চাঁদপুর, লক্ষীপুর, নোয়াখালী, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, যশোর, সাতক্ষীরা, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ; ও ১০টি সিটি কর্পোরেশনে – ঢাকা ((ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি), বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট, ফাইজার টিকা কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও, ইউএসএআইডি স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের অধীনে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে প্রধান জাতীয় টিকাদান নির্দেশিকা এবং প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল তৈরিতে এবং দেশে কোভিড -১৯ টিকা প্রদান কর্মসূচীকে শক্তিশালী করার জন্য ,৬০০০ এরও বেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
মার্কিন সরকার এখন পর্যন্ত মডার্না এবং ফাইজার টিকার ৬.৫ মিলিয়ন ডোজ দান করেছে এবং মোট ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোভ্যাক্স মেকানিজমে টিকা দাতাদের শীর্ষে রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী ৫০০ মিলিয়ন ফাইজার টিকা কেনার এবং অনুদান প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে আগামীতে ফাইজার কোভিড -১৯ টিকার আরও পাঁচ মিলিয়ন ডোজ প্রদান করবে।
যুক্তরাষ্ট্র মহামারি প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে আসছে এবং ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরোধ ও সাড়ামূলক কার্যক্রমকে জোরদার করতে উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা হিসেবে ইউএসএআইডি, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর, সিডিসি ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে ৯৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান সহায়তা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া এই সহায়তা কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা ও জীবন রক্ষায় সাহায্য করেছে, ভাইরাস পরীক্ষা করার ও নজরদারির সামর্থ্য জোরদার করেছে, সংক্রমণের ঘটনার ব্যবস্থাপনা, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের চর্চা ও পদ্ধতিগুলো উন্নত করেছে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক বা সরঞ্জাম ব্যবস্থাপনা উন্নত করেছে।
বাংলাদেশ সরকারকে করোনা ভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায়, ইউএসএআইডি সেভ দ্য চিলড্রেনের মাধ্যমে তার এই ইমার্জেন্সি রেসপন্স টু কোভিড-১৯ প্রকল্প পরিচালিত করছে। এর মাধ্যমে গত বছর থেকে বাংলাদেশি চিকিৎসক এবং চিকিৎসাসেবার সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য সম্মুখযোদ্ধাদের ক্লিনিকাল দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের সক্ষমতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে চিকিৎসার জন্য উপযোগী করা, মাঠ পর্যায়ে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি ও জাতীয় পর্যায়ে টিকা কার্যক্রমে বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।