মংলা থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জের মরাভোলা এলাকায় এমভি জাবালে নুর নামে সারবাহী কার্গো জাহাজ ডুবে যায়। এতে ছিল পটাশিয়াম সার। জাহাজটি ডুবে যাওয়ার কারণে সেখানকার জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়বে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের দাবি যতটা দ্রুত সম্ভব এই সার অপসারণ করে নদীটিকে দূষণমুক্ত করা।
তাদের দাবি যতটা দ্রুত সম্ভব এই সার অপসারণ করে নদীটিকে দূষণমুক্ত করা।
বিশেষজ্ঞরা বলছে, পটাশ সার অতিরিক্ত মাত্রায় ক্ষারীয় হওয়ার কারণে তা পানির সঙ্গে দ্রবীভুত হয়ে পানি দূষিত করে তুলবে। দূষিত পানির কারণে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর খাদ্য গ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সার এবং সার মিশ্রিত পানি সরিয়ে নিতে হবে।
বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ (বিসিএস)’র নির্বাহী পরিচালক ও পরিবেশবিদ ড. আতিক রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এই সার মিশ্রিত পানি যদি নদীতে ছড়িয়ে পড়ে তবে ব্যাপক ক্ষতি হবে। যত দ্রুত সম্ভব তা অপসারণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তাড়াতাড়ি অপসারণ না করলে সার মিশ্রিত পানি নদীর পানির সঙ্গে মিশে গিয়ে জলজ প্রাণীর জীবন হুমকির মুখে ফেলে দিবে।
ড. আতিক জানান, পটাশের কারণে নদীর পানি অতিমাত্রায় ক্ষারীয় হয়ে যায়। যাতে মাছের খাদ্য গ্রহণ বাধাগ্রস্থ করে মৃত্যু ঘটবে।
বাংলাদেশ ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সেফগার্ড’র আহবায়ক ও পরিবেশ গবেষক ম. আবদুর রহমান রানা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, পটাশিয়াশের কারণে পানি অতিরিক্ত ক্ষারীয় হলে সব ধরনের অণুজীব ও মাছের মৃত্যু ঘটাবে ৷
সার মিশ্রিত পানি মানবদেহের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পানি আশেপাশের মানুষ ব্যবহার করলে চামড়া প্রদাহ ও ত্বকের রোগসহ নানা ব্যাধি সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে তা আশেপাশের খালে ও নদীতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটাবে ৷
গত ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে শুগরমারী এলাকায় এমটি টোটাল নামে একটি জাহাজের ধাক্কায় ওটি সাউর্দান স্টার-৭ নামে একটি তেলবাহী জাহাজ ডুবে যায়। ২২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের একটি দল পর্যবেক্ষণের জন্য আসে। ওই বিশেষ দলটি পরামর্শ দেয় সুন্দরবন অঞ্চলের নদীগুলোতে যে কোন নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার।
কিন্তু কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর সরকার শুধু দিনের আলোতে যান চলাচলের অনুমতি দেয়।