চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

সাময়িক আশ্রয় দেবে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া

সাগরে ভাসমান অবৈধ অভিবাসীদের সাময়িক আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমাগত অনুরোধের পরে দেশ দুটি মানবিক অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিফা আমান বলেছেন, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের নৌকা অন্যদের সীমান্তে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করবেন না। অবৈধ অভিবাসীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে তাদের মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র তীরে আসতে দেয়া হবে।

বুধবার এশিয়ার আঞ্চলিক অবৈধ অভিবাসী ও শরণার্থী সমস্যার সমাধানের জন্য কুয়ালালামপুরে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন। বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক কমিউনিটিগুলোকে আগামী ১ বছরের মধ্যে এই অভিবাসীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই শর্তে তারা অভিবাসীদের আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছেন।

তবে এখন পর্যন্ত থাইল্যান্ড কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। এছাড়া বৈঠকে মিয়ানমার উপস্থিত হননি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সাগরে মানবেতর দিন পার করা এই অভিবাসীদের নৌকা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কঠোর সমালোচনার সম্মুখীণ হচ্ছে মিয়ানমার।

সমালোচনারমুখে অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি সামান্য মনোভাব পরিবর্তন করেছে মিয়ানমার সরকার। বুধবার মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আর্ন্তজাতিক সংস্থাগুলোর উদ্বেগের কারণ তারা বুঝতে পেরেছেন। তাই সাগরে ভেসে থেকে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন, এমন যে কাউকে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে তারা প্রস্তুত।

জাতিসংঘের মতে, বিগত কয়েক বছরে মালয়েশিয়া প্রায় সাড়ে ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিলেও দেশটি এখন আর সাহায্য করতে চাইছেনা। থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়া সাগরে ভাসমান শরণার্থীদের সাহায্য করলেও তাদের আশ্রয় দিতে দেশের দরজাগুলো খুলবেন না বলে জানান।

কয়েক হাজার বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা মুসলিম অভিবাসীরা সামান্য কিছু খাবার ও পানি নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে সাগরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। কিন্তু গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় অভিবাসী সমস্যা নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে কোনো দেশেই এই অভিবাসীদের দায়িত্ব নিতে রাজি হচ্ছিলেন না। ওই বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় মানুষ আরো সাড়ে ৩’শ জন অবৈধ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছেন। উদ্ধার সংস্থার প্রধান কাহিরুল নোভ বলেন, উদ্ধারকৃতরা ডায়রিয়ায় ভুগছিলেন এবং এর মধ্যে অর্ধেকই নারী ও শিশু।