ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের তিন শতাধিক বাড়িতে একযোগে হামলা, ভাংচুর এবং মন্দির ধ্বংসের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য গণমাধ্যম’ ব্যানারে আয়োজিত একটি মানববন্ধন থেকে এমন দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে রাষ্ট্র ও সমাজের ক্রমাগত সাম্প্রদায়িকীকরণ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি দখলের জন্য এক শ্রেণীর মানুষের লোভকে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
একের পর এক এরকম ঘটনা ঘটিয়ে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্পৃতির পরিবেশ ধ্বংস করার মধ্য দিয়ে এদেশে জঙ্গি-তালেবানি স্টাইলের রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই এসব হামলার মূল উদ্দেশ্য।
মানববন্ধন থেকে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা, পুলিশ ও প্রশাসনের দায়িত্বহীন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, (৪) সরকারী অর্থায়নে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বাড়ি ঘর মন্দির পুর্ননির্মাণসহ যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আস্থার পরিবেশ তৈরির জন্য জোড়ালো রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।
এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কার কি ভূমিকা ছিল তা দলীয়ভাবে তদন্ত করার জন্য আওয়ামী লীগের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
“অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য গণমাধ্যম Media Activists for Secular Bangladesh” আয়োজিত মানববন্ধনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র মহাসচিব ওমর ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব পুলক ঘটক, কোষাধ্যক্ষ্য মধুসুদন মন্ডল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র সাবেক সভাপতি তরুণ তপন চক্রবর্তী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রহমান মুস্তাফিজ ও আব্দুল মজিদ, স্বাধীনতা সাংবাদিক পরিষদের আহ্বায়ক বরুণ ভৌমিক নয়ন ও সদস্য সচিব হামিদ মোহাম্মদ জসিম, ডিইউজে’র নির্বাহি সদস্য মাহমুদুর রহমান খোকন, সংগঠক রাজন ভট্টাচার্য এবং হুমায়ুন মুজিব বক্তব্য রাখেন।