স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে মোহাম্মদ সামির নামে। শর্ত সাপেক্ষে এ পরোয়ানা জারি করেন পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আদালত। তবে ভারতীয় পেসার আপাতত পাশে পাচ্ছেন বোর্ডকে! মামলার চার্জশিট চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত তার বিপক্ষে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিসিসিআই।
‘হ্যাঁ, আমরা শুনেছি তার নামে পরোয়ানা জারি হয়েছে। তবে এই মুহুর্তে এরসঙ্গে জড়াতে চাচ্ছি না। চার্জশিট পেলে বিসিসিআইয়ের সংবিধান অনুযায়ী কী ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটা পরে দেখা যাবে। এ মুহুর্তে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলে সেটা তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে।’ বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে এমনই বলেছেন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা।
ভারত জাতীয় দলের সঙ্গে এ মুহুর্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আছেন সামি। তাই তাকে শর্ত দেয়া হয়েছে দেশে ফিরে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য। এই সময়ের মধ্যে আদালতে না আসলে তখন কার্যকর করা হবে পরোয়ানা।
গত বৃহস্পতিবার সামির স্ত্রী হাসিন জাহানের আইনজীবী আদালতের কাছে শামির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য আবেদন করেন। তার দাবি, অতীতে বিচার চলাকালীন অবস্থায় কখনোই আদালতে হাজির হননি সামি। সেই দাবির প্রেক্ষিতেই সোমবার বিচারক সুব্রত মুখোপাধ্যায় জারি করেন পরোয়ানা।
২০১৮ সালে হাসিনের করা মামলার পর কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে দূরে রাখা হয়েছিল সামিকে। পরে অবশ্য তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় চুক্তিতে। সেই সময় কেনো সামিকে দূরে ঠেলে রাখা হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে বোর্ডের ওই কর্মকর্তার দাবি, তখন পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন।
‘সেটা ছিল ভিন্ন পরিস্থিতি। সামির নামে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ছিল। কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ) ভেবেছিল দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) প্রধান সামির চুক্তির আগেই প্রতিবেদন জমা দেবেন। সেটাই হয়েছে এবং এর ফলে সামি চুক্তিতে ফিরে এসেছে।’
হাসিনের সঙ্গে সামির সমস্যাকে ‘পারিবারিক ঝামেলা’ আখ্যা করে এ পেসারের কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিলের কোনো ইচ্ছা নেই বলেও জানিয়েছেন সেই কর্মকর্তা।