বারো ভাষার ১২ শিল্পীর কণ্ঠে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটির সংগীতায়োজন করে নাবিদ সালেহিন নিলয় প্রশংসিত হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন তার ভিন্ন একটি চরিত্র এবং রূপও তুলে ধরছেন অনেকে।
নিলয়ের ফেসবুকে তার শেয়ার করা বেশ কিছু ছবি এবং পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে তারা বলছেন, তার অবস্থান শুধু জামায়াত-শিবিরের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের পক্ষেই ছিলো না, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছবিসহ এমন মন্তব্য করেছেন যা সরাসরি নারী নেতৃত্ববিরোধী।
নিলয় ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩ সালে রাত ১২টা ৪৮ মিনিটে তার ফেসবুক পোস্টে বলেন: ‘গোপালগঞ্জের নাম পাল্টিয়ে দেবো’এটা মোটেও বলা হয়নি, বলা হয়েছে গোপালগঞ্জের নাম বদলে যাবে। গোপালগঞ্জ জেলার নাম আর থাকবে না। আল্লাহর গজব পড়বে আপনারা যা শুরু করে দিয়েছেন। আকাশ পাতাল পার্থক্য শুধু লাফাইলেই হবে না।
নিলয় ওই বছরের ১ ডিসেম্বর তানজির আহমেদ তুহীনের একটি পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করেন যেখানে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ করা হয়।
এছাড়াও ২০১৩ সালে সারা বছর জুড়েই নিলয় তার ফেসবুকে জামায়াত-শিবির পরিচালিত পেজ বাঁশের কেল্লাসহ আরো কিছু পেজের পোস্ট শেয়ার করেছেন।
এ সম্পর্কে নাবিদ সালেহিন নিলয়কে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রথমে ওইসব পোস্ট এবং শেয়ার তার নয় বলে দাবি করেন। পরে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে আমি কি পোস্ট দিয়েছি তা এখন আমার মনে নেই।
পোস্টগুলো এখন অবশ্য আর তার ফেসবুক পেজে নেই।
এর আগে ইউটিউবে প্রচারিত গানটিতে সংগীত পরিচালক হিসেবে নাবিদ সালেহিন নিলয়ের নাম দেয়া নিয়েও অনেকে সমালোচনা করেন।
অমর গানটির সুরস্রষ্টা শহীদ আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, নিলয় একুশের গানে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে তার নাম ব্যবহার করতে পারেন না। আমরা বিভিন্নভাবেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যেনো তিনি ব্যাপারটির জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। কিন্তু, এখনো তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।
আর বারো ভাষায় গাওয়ার প্রচেষ্টাটিকে ত্রুটিযুক্ত বলে মন্তব্য করেন মুক্তিযোদ্ধা নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বলেন।
তিনি বলেন, কাজটি ত্রুটিমুক্ত নয়। প্রথমতঃ মূল সুরকার ও গীতিকারের নাম যথাযথভাবে উল্লেখিত নাই! বাংগালীর ইতিহাসের প্রধানতম এই সংগীতের সুরকার (composer) আলতাফ মাহমুদ এবং গীতিকার (lyricist) আব্দুল গাফফার চৌধুরীর নাম সম্মানের সাথে সংগীতের প্রারম্ভে স্বীকার করে এই সংগীতায়োজন করা যেতে পারে।